আমাদের সময়ের ডাঃ খাস্তগীর গার্লস হাইস্কুল

নিলুফারুল আলম | রবিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ


সময়টা খুব সম্ভব ১৯৩৪-৩৫ সাল হবে। আমাদের বড় বুবু উমরতুল ফজল (সাহিত্যিক আবুল ফজলের সহধর্মীনি) লেখাপড়া করেছিলেন ডাঃ খাস্তগীর গার্লস হাই স্কুলে। তার মুখে শুনেছিলাম তাঁদের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন সুরমাদি। অত্যন্ত আদর্শ শিক্ষিকা তিনি। তাঁদের সময়ে মুসলিম ছাত্রী সংখ্যা ছিল খুব কম। স্কুলের সুখ্যাতি, কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার কথা ছিল সর্বজনবিদিত।
১৯৫০ সাল। আমার বাবা শিক্ষক ও কবি ওহীদুল আলম আমরা দু’বোনকে ডেকে বললেন, তোমাদের খাস্তগীর স্কুলে ভর্তি হতে হবে। আমার মা স্কুল শিক্ষিকা। তাই ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার উপযোগী করে মা আমাদের তৈরি করে ফেললেন। ঐ বছরেই আমরা দু’বোন আমি ও ছোট বোন হাসিনাতুল আলম (বুলবুল) যথাক্রমে ৫ম ও ৩য় শ্রেণিতে ভর্তি হতে সক্ষম হয়েছিলাম।
ডাঃ খাস্তগীর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বিরাট এলাকা জুড়ে সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। পূর্বে এ স্কুলটি একটি মাত্র লম্বা তিন তলা ভবন ছিল। নীচ তলায় শ্রেণি কক্ষ, দোতলা ও তিন তলায় স্কুল বোর্ডিং এবং প্রধান শিক্ষিকা ও অন্যান্য শিক্ষিকাদের আবাসস্থল। এ স্কুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছিল মনোরম। স্কুলের সামনে বিভিন্ন ফুলের মনমুগ্ধকর বাগান। বারান্দা দিয়ে বের হতে বিরাট দৈর্ঘ্যের সিঁড়ি। সিঁড়ির নিচ থেকে পিচ ঢালা রাস্তা চলে গেছে সোজা গেট পর্যন্ত। রাস্তার অপর পার্শ্বেও বাগান। বাগানের ধারে একটি মিষ্টি বরই গাছ ছিল। বরই খেতে গিয়ে মাথায় ঢিলের আঘাত পড়েনি তা হলফ করে বলা যাবে না। বরই গাছের পাশে ছিল একটা বড় পাকা মাঠ। যেখানে প্রতিবছর স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হতো। মাঠের এক পাশে দাই, দারোয়ান আর মালির ঘর। দাই ছিল মালুর মা, মতির মা, আর দপ্তরি ছিল সুরেন্দ্র। সুরেন্দ্রর মেয়ে শচী আমার তৃতীয় বোন নার্গিস ও আমার বোনঝি মমির (আবুল ফজলের মেয়ে)’র সঙ্গে লেখাপড়া করতো। সুরেন্দ্র কিছু লেখাপড়া জানতো। আমি স্কুলে থাকাকালীন প্রায় ছয় বৎসর সুরেন্দ্র ঐ স্কুলে চাকরিরত ছিল।
তিন তলা বিল্ডিংয়ের পেছন দিকে কিছুটা প্রশস্থ জায়গার পর একটা এক তলা বিল্ডিং ছিল। সেখানে চতুর্থ অথবা পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস হতো। ক্লাস রুমের দু’দিকে লম্বা বারান্দাকে বেঞ্চ টুল বিছিয়ে হোস্টেল ছাত্রীদের আহার এবং টিফিন খাবারের ব্যবস্থা ছিল। ঐ স্থানে আর একটা ঘর ছিল তাতে হোস্টেল ছাত্রী ও আপাদের রান্না করার কাজ চলতো। দাইরা রান্না করতো। হালিমা আপার মা রান্নার তদারকি করতেন। আমাদের সময় হালিমা আপা নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও স্মার্ট ছিলেন। গালর্স গাইড ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর পদচারণা ছিল সরব। তিনি পিতৃহীন ছিলেন বলে লতিফা আপা তাঁকে এবং তাঁর মাকে এ স্কুলে রেখে হালিমা আপার শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিয়েছিলেন। পরে হয়ত তিনি কোন উচ্চপদে আসীন হয়েছিলেন।
সামনের সিঁড়ি দিয়ে প্রথমে কেরানী ঘর। তারপর মৌলভী স্যারদের কমনরুম ছিল। তারপর প্রধান শিক্ষকের কক্ষ। এরপর লাইব্রেরি রুম। তারপর শ্রেণিকক্ষগুলো ছাত্রী সংখ্যানুপাতে সজ্জিত ছিল। হোস্টেলে উঠার সিঁড়ি ঘরের আগের রুমটা শিক্ষিকাদের কমন রুম ছিল। অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভের প্রত্যাশায় প্রথমে কেরানির রুমে অপেক্ষা করতে হতো। প্রধান শিক্ষিকার কাছে চিরকুট পাঠিয়ে তা হুকুম জারি হলে তবে অভিভাবক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারতেন। কোন অন্যায় দাবি তিনি তাৎক্ষণিক প্রত্যাখান করতেন। তাঁর ন্যায়-নীতি ছিল কঠোর ও শৃঙ্খলাবদ্ধ।
ডাঃ খাস্তগীর স্কুলে সিঁড়ি দিয়ে নেমে টয়লেটের সারি। একপাশে একটা পাতকুয়া। পাতকুয়ার কাছাকাছি একটা বট অথবা অশত্থ গাছ ছিল। অনেক প্রাচীনকালের গাছ। গাছটার মধ্যে গর্ত/গহ্বর ছিল। লোকমুখে শোনা যেত এটাতে ভূত-পেত্নীর বাসা আছে। ঐ গাছতলায় যেতে সবাই ভয় করতো। খেলার জন্য সি-স ও স্লিপিং খেলার ব্যবস্থা ছিল। ব্যাডমিন্টন ও দাঁড়িয়াবান্ধার কোর্ট কাটা ছিল। আমরা এক্কা-দোক্কা খেলার জন্য স্কুলের পেছন দিকে কোর্ট বানিয়ে খেলতাম। টিফিন ছুটিতে ও খেলার পিরিয়ডে কোর্ট দখল করার প্রতিযোগিতা চলতো। সুতরাং আমাদের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে খেলাধূলা করে। যার কারণে এ বৃদ্ধ বয়সে অনেক কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছি মা-শাআল্লাহ। এ প্রযুক্তির যুগে শিশু-কিশোর যুবক কারো খোলা আঙিনায় আকাশের নিচে খেলার সুযোগ নেই।
আমাদের সময় প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন লতিফা আপা। তাঁর স্বামী চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি অত্যন্ত আদর্শময়ী দক্ষ শিক্ষিকা ছিলেন। স্কুল পরিবেশ আকর্ষণীয় ছিল। আমাদের বড় আপার মত সর্বগুণে গুণান্বিতা বর্তমানে বিরল, তাঁর সততা ন্যায় পরায়ণতা মহানুভবতার বৈশিষ্ট্যগুলো আজও আমার মানসপটে ভেসে আছে। মনে আছে তাঁর এক শিশু কন্যা ডিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল। সহকারি শিক্ষিকা ছিলেন নিরুপমা দি। মহিলাদের মধ্যে তিনি একমাত্র বিজ্ঞান শিক্ষিকা ছিলেন। অংক ও বিজ্ঞান বিষয়গুলো তিনি পড়াতেন। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বদরুন্নেছা আপা বড় কোমল হৃদয়ের ছিলেন। ছাত্রীদের প্রতি আন্তরিকতা ছিল অপরিসীম। তনি সংস্কৃতমনা ছিলেন। স্কার্ফ বুক তৈরি করার নিয়ম-কানুন তিনি আমাদের শিখিয়েছিলেন। সালেহা আপা পর্দানশীন মহিলা ছিলেন। সবুজ বোরকা পরিধানরত থাকতেন। ছাত্রীদের প্রতি আন্তরিক পাঠদানে দ্বিধা ছিল না। রহিমা আপা শান্ত সভ্য ছাত্রীদের প্রতি কঠোর আচরণ করতেন না। তবে সব আপারাই শ্রেণিকক্ষে পড়া আদায় করে নিতেন। এতে বিদ্যার মূল্যায়ন সঠিক থাকতো বলে পরীক্ষায় ফেলের সংখ্যা বেশি হতো না। বেশি পরীক্ষা না দিয়ে প্রত্যেক বিষয়ের শিক্ষকরা এক অধ্যায় শেষ হলে তা শ্রেণির কাজের ভিতর একদিন স্থির করে মূল্যায়ন করতেন এবং এতে নম্বর থাকতো। তা শ্রেণির কাজের খাতায় থাকতো। এর জন্য কোন রিপোর্ট তৈরি করতে হতো না। এ জন্য তখন শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের মধ্যে কোন হয়রানিমূলক অবস্থা হতো না। শিক্ষার্থীরা হেসে-খেলে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারতেন। এখন প্রাইভেট টিউটর ও কোচিং সেন্টারে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে না খেলতে পারছে না প্রকৃতি দেখার সুযোগ পায় এ যুগের শিক্ষার্থীরা। কিভাবে জিপিএ ফাইভ পাবে অভিভাবকও তাঁর সন্তানদের হয়রানি দেখে আমি বিস্মিত হয়ে যাচ্ছি।
সুফিয়া আপা ভূগোল পড়াতেন। মানচিত্র দিয়ে পড়া সহজ উপায়ে শেখবার পদ্ধতি শিক্ষা দিতেন। সুরাইয়া আপা সুন্দরি শান্ত স্বভাবের ছিলেন। হোছনে আরা আপা ইতিহাস পড়াতেন। ইতিহাস মুখস্থ করতে হতো। তিনি খুব কড়া ছিলেন। রওশন আপা খুব ভাল ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ ছিল। কামেলা আপা রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কলিম শরাফির স্ত্রী ছিলেন। খুবই সুন্দরি। ব্রাহ্মণ থেকে মুসলিম হয়েছিলেন। তিনিও ভাল পাঠদান করতেন। স্নেহদি ছিলেন স্নেহের স্বভাবের, চারুকলার টিচার। আমি চারুকলায় ভাল ছিলাম বলে তার থেকে বাহবা পেতাম। স্নেহ রক্ষিত আমাদের স্কুলের সন্নিকটে রক্ষিত বাড়ির বধূ অথবা কন্যা ছিলেন বোধহয়। রক্ষিত বাড়ি থেকে দু’জন আমার সহপাঠী ছিল একজনের নাম নিবেদিতা রক্ষিত, আর একজনের নাম চিন্ময়ী রক্ষিত। এরা ভাল গান করতে পারতো। দু’জনের মধ্যে যে কোন একজনের নাতনি হয়ত এখন প্রসিদ্ধ গায়িকা হৈমন্তি রক্ষিত মান। তার বাবা প্রকৌশলী ছিলেন। অর্থাৎ তাদের ছেলে সুশিক্ষিত হয়েছিল। গায়িকা এক সাক্ষাতকারে বলেছে দাদির প্রেরণায় সে গায়িকা হতে পেরেছে। গোলাপদি যেমন নাম তেমন গোলাপের মত নমনীয়তা তাঁর মধ্যে ছিল। তিনিও ভাল পাঠদান করতেন। মুকুলদি ও নমিতা দি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পাঠ নিতেন। মুকুল দি অংক করাতেন। অংক না বুঝলে শরীরটা ঝাঁকানি দিতেন। এটা তার শাস্তি। ছাত্রীরা তাঁকে ভীষণ ভয় করতো। নমিতা দি শান্ত স্বভাবের ছিলেন।
বিজ্ঞান শিক্ষক ছিলেন মীর হোসেন স্যার। তাঁর মাথায় মেরুন রঙের ফেজ টুপি। নবম, দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, গণিতের পাঠ নিতেন তিনি। আরবি ও উর্দু হুজুর ছিলেন জামালুদ্দিন হুজুর। আর একজন হুজুর ছিলেন তাঁর নাম স্মরণে আসছে না। কারণ সপ্তম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত উর্দু, আরবি ফারসি এ তিনটা বিষয় ছিল পাঠ্য। আরবি- আবশ্যিক ছিল। উর্দু আর ফার্সি যে কোন একটা নিতে হবে। তখন পাকিস্তান আমল। নবম, দশম শ্রেণিতে আরবি বাদ দেওয়া হয়েছিল। উর্দু বা ফার্সি আবশ্যিক ছিল।
স্কুল শিক্ষকগণ প্রাইভেট টিউশনি বা কোচিং সেন্টারের অন্তর্ভুক্ত ছিল না বলে তাঁদের ক্লাসে পাঠদান ও পাঠ মূল্যায়ন অবশ্য করণীয় কাজ ছিল। প্রধান শিক্ষিকা আকস্মিক ক্লাশ পরিদর্শন করতেন। ছাত্রীদের সঙ্গে পেছন দিকের বেঞ্চে বসে শিক্ষকের পাঠদান পদ্ধতি অবলোকন করতেন। পরে তাঁদের পাঠদানের ভুল-ভ্রান্তি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়ে যোগ্য শিক্ষক গড়ে তোলার প্রয়াস ছিল। সপ্তাহে একদিন খেলার পিরিয়ড থাকতো প্রতি ক্লাসে বার হিসেবে। সে সময় প্রধান শিক্ষিকা ক্লাস পরিদর্শন করে ক্লাসে বসা কোন ছাত্রীকে পেলে মাঠে পাঠিয়ে দিতেন। খেলাধূলা ও সহপাঠ ক্রমিক ব্যবস্থা না থাকলে পাঠ গ্রহণে আনন্দ পাওয়া যায় না। একঘেয়েমি সৃষ্টি হয়, মেধার উপর চাপ পড়ে ফলে শিক্ষালাভে অনীহাভাব এসে যায়। আমাদের লতিফা আপা এসব দিক বিবেচনা করে স্কুল রুটিন ঠিক করেছিলেন তাতে শিক্ষার্থীদের স্কুলের প্রতি আকর্ষণ প্রগাঢ় ছিল।
আমাদের বিষয়ভিত্তিক উচ্চ নম্বর অর্থাৎ সর্বোচ্চ নাম্বার ৭০-এর বেশি উঠত না। যত ভাল ছাত্রী হোক লেটার মার্ক পাওয়া চাট্টিখানি কথা ছিল না। বর্তমানে এম.সি.কিউ’র ৪০ নম্বর দিয়ে যে কেউ ৯০ নম্বর তুলতে পারছে তখন তা সম্ভব ছিল না। অনেক মেধাবী ছাত্রী প্রথম স্থান অধিকার করে ৯০ ঘরে পা দিতে সক্ষম হতো না, একমাত্র অংক ছাড়া। আপারা নম্বর দিতে যথেষ্ট কার্পণ্য করতেন সে যুগে, প্রথম বিভাগে পাস করা শিক্ষার্থীর মান ছিল অনেক অধিক। হাইয়ার সেকেন্ড ডিভিশনে পাস করলেও স্কলারশিপ পাওয়া যেতো। আমাদের স্কুলে এক বৎসর সাকিবা আপা ৫টি লেটার নিয়ে স্টার মার্কস পেয়ে ম্যাট্রিক পাস করেছিলেন ঢাকা বোর্ডের আন্ডারে। ঠিক জানি না বোধ হয় তিনি সে বছর বোর্ডে ১ম হয়েছিলেন। তাঁকে এক নজর দেখার জন্য লোকের ভিড় পড়ে গিয়েছিল। গ্রেড প্রথা প্রচলন হবার আগে পর্যন্ত শিক্ষার মান ও মূল্যায়নের কদর ছিল অত্যাধিক। আমাদের চট্টগ্রামের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বোন, কন্যা, ভাগ্নি, নাতনি এই ডাঃ খাস্তগীর গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। তৎকালে বাঁশখালী ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকলেও কিছু জমিদার পরিবার ও খান্দানী বংশ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি ছিলেন। যাঁরা দেশের জন্য ভাল কাজ করে গেছেন। যার জন্য ইতিহাসে তাঁদের নাম উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে লিখিত আছে। যেমন বাঁশখালীর কালিপুর নিবাসী ইউ.ইন. সিদ্দিকী, রুনু সিদ্দিকী। তাছাড়া বাঁশখালীর আতাউর রহমান কায়সারের পিতা পেঁচো মিঞা, (ভাল নাম আমার জানা নেই) মেয়র মাহমুদুল ইসলাম তাঁর চাচা কামরুন্নাহার জাফরের পিতা, অধ্যাপক সাহিত্যিক আসহাবউদ্দিন, পাঠানটুলির আমানত খানের শ্বশুর খান বাহাদুর আরও অনেকে বাঁশখালীর গৌরব উজ্জ্বল করে রেখেছেন।
আমার পাঠ গ্রহণ যুগে পেঁচো মিঞার মেয়ে জাকারিয়া আপা ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তাঁর ছোট বোন রাফিয়া আপা রীনা তখন ৭ম/৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। মেধা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তিনি দক্ষ ছিলেন। পরে তিনি ডাক্তার হয়েছেন। আতাউর রহমান কায়সারের স্ত্রী নিলুফার কায়সার তাঁদের আত্মীয় সম্পর্কিত ছিল। সে আমার ছোট বোন হাসিনাতুল আলম বুলবুলের সহপাঠী। (চলবে)

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষা-শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: রবীন্দ্র ভাবনা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান