মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের করোনা পজিটিভ এসেছে। এটা আজ বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত খবর। যে দেশে লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে সে দেশের প্রেসিডেন্টের করোনা পজিটিভ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
আমাদের দেশের বর্তমান যে অবস্থা, আমরা সাধারণ জনগণ খুব স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি। আমাদের দেশে মৃত্যু হাতে গোনা। কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই উপলব্ধি করছি আমাদের দেশের প্রত্যেকটা পরিবারে এখন করোনা আক্রান্ত রোগী আছে। একটা সময় করোনা আক্রান্ত রোগীর খবর নিয়ে প্রশাসন থেকে লোক যেতো করোনা আক্রান্ত রোগীর কাছে। ফলে এলাকার লোকজন সচেতন হতো। প্রথম প্রথম তো এমন অবস্থা হয়েছিলো করোনা আক্রান্ত রোগী যে বাসায় আছে তার আশেপাশের প্রত্যেকটা পরিবারকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিলো, সেটা অবশ্যই সবার ভালোর জন্যই। কিন্তু বর্তমানে এতো এতো রোগী কিন্তু আমরা আসলে কেউ সচেতন নই। তবে একটা বিষয়, আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আল্লাহর তরফ থেকে দিয়ে দেয়া হয়েছে, না হলে আমরা এই গরিব দেশের মানুষ কি যে দুর্বিষহ অবস্থায় পড়ে যেতাম সেটা বলে শেষ করা যাবে না! আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ধর্মীয় ভীতি আছে। প্রত্যেক ধর্মের মানুষ তাদের নিয়ম অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার কাছে এই রোগ থেকে মুক্তির জন্য নিয়মিত প্রার্থনা করছেন। আমাদের দেশের মানুষের ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাব নেই, কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষকেই রোদে কাজ করতে হয়। আমাদের দেশের মানুষের ইমিউনিটি সিস্টেম অনেক মজবুত। কারণ, আমাদের দেশের যে সবুজ শাকসবজি, আমাদের দেশীয় যে ফলমূল সে সবে খাদ্য গুণাগুণ অনেক বেশি পরিমাণে আছে ফলে আমাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক বেশি। আমাদের দেশের মানুষকে যদি আরেকটু সচেতন করা যেতো, সবাই যদি নিয়মিত মাস্ক পরে বের হতো অন্তত আমাদের লোকজনের মধ্যে এই রোগ আক্রান্তের সংখ্যা আরো অনেকটাই কমে আসতো।
সবাই যে আশঙ্কাটা করছে সামনে শীতকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে, সেটাকে অনেকটাই আয়ত্তে রাখা যাবে যদি লোকজনকে আরেকটু সচেতন করা যায়। বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।