আমাদের দেশের ডোবা আর বহির্বিশ্বে ‘ওয়াটার ফলস’

অস্মিতা তালুকদার | বুধবার , ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

কথাটা শুনেই নিশ্চয় মনে হচ্ছে বিপরীত শব্দ বলছি। বিপরীত শব্দের মতো শোনালেও আসলে কিন্তু তা নয়! আমাদের দেশে যেখানে পানি সহজলভ্য বহির্বিশ্বের অধিকাংশ দেশে পানি ব্যবহার এবং খরচে আলাদা ব্যয়ভার বহন করতে হয়। সেখানে পারতপক্ষে আমাদের দেশে একেবারেই বিনাখরচে আমরা পানি ব্যবহার করছি। পানি এতো সহজলভ্য হওয়া সত্ত্বেও আমরা তার কতটুকু সদ্ব্যবহার করছি? আমাদের দেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয়! যেখানে রাজধানীর হাতিরঝিলের মতো সুন্দর কার্যক্রমকে কয়েক বছর পর নোংরা পানির দুর্গন্ধে সেখানে ধার ঘেঁষে টেকা দায় হয়ে দাঁড়ায়! কক্সবাজারের মতো দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের পানিতে ঘোলা, নোংরা আবর্জনা ভাসতে দেখা যায়! সেন্ট মার্টিনের মতো মনোমুগ্ধকর পরিবেশে পর্যটনশিল্প যেখানে দৃষ্টি আকর্ষক ছিল গত বিশ বছরে আমরা কতটুকু তার সৌন্দর্য অটুট রাখতে পেরেছি? রাস্তার ফাঁকে ফাঁকে যেখানে ডোবা আছে, কটা ডোবার পাশে আপনি দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ সময় ব্যয় করতে পারবেন আপনি বলতে পারেন? আমাদের দেশে এসব জলের উৎস গুলো যদি কোনো উন্নত দেশে হত সেখানে পানির নীচে ঝকঝকে পরিষ্কার পানি দেখা যেত! আমরা যেটাকে ডোবা বলছি সেই বিশাল নর্দমাতে বাইরের দেশে জল পরিশোধন করে মনোরম লেইকে রূপান্তরিত করে নৌকা, নানা রঙের মাছ ভাসতে দেখা যায়! হয়ত ওসব দেশে জলের দাম বেশি বলেই তারা সেটার মর্যাদা রক্ষা করতে পারছে যা আমরা পারছি না! আমাদের দেশে নতুন কার্যক্রম শুরু হয় ঠিকই কিন্তু কয়েক বছর পর তার সুষ্ঠু পরিচর্যা করা হয় না! এই পানির উৎসগুলোকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয় ঠিকই কিন্তু পরিবেশের স্বার্থে গুণগত মান বজায় রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। নদী কিংবা সমুদ্রসৈকত কিংবা ছোট্ট ডোবাকেও যদি আমরা পরিচ্ছন্নতার আওতাভুক্ত করি তবে উন্নত দেশের মতো আমরাও উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারি! পর্যটনশিল্পকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারি! লেখক: সেন্ট প্লাসিড স্কুল এন্ড কলেজের উচ্চতর গণিতের শিক্ষক ও প্রভাষক

পূর্ববর্তী নিবন্ধশীত শির শির
পরবর্তী নিবন্ধদূরের টানে বাহির পানে