১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ই পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তা শুরু হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফিরে পুনরায় পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে। তবে সরকারের এই উদ্যোগ শুরুতেই আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জর মুখে পড়ে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে। নিজেদের টাকায় শুরু হয় পদ্ম সেতু বাস্তবায়নের কাজ। শেখ হাসিনার এই সাহসী ঘোষণা ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়। গতকাল প্রমাণিত হলো বাংলাদেশের সক্ষমতা, প্রমাণিত হলো আমরাও পারি। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে শত বাধা অতিক্রম করে পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান। তিনি বলেন, তার মানবিক ও সাহসী নেতৃত্বের কারণেই সব অসম্ভবকে সম্ভব করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে আমরাও পারি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে পদ্মা সেতু বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে ছয় দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যান আজ (গতকাল) ১২ টা ২ মিনিটে বসানো হয়েছে।