চট্টগ্রামে আবাসন খাতের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সিপিডিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন বলেছেন, রিয়েল স্টেট সেক্টরকে সবসময় হাই ক্লাস লোকের ব্যাপার হিসেবে দেখা হয়। অথচ বাসস্থান সবার জন্য প্রয়োজন। ওই অনুযায়ী আমরা সবার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারিনি। বর্তমানে আমরা যারা আবাসন সেক্টরে বিনিয়োগ করেছি সকলেই উচ্চবিত্ত কিংবা উচ্চ মধ্যবিত্তকে নিয়ে কাজ করছি। যার পরিমাণ দেশের ১০-২০ শতাংশের বেশি নয়।
তিনি বলেন, আবাসন মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর অন্যতম। কিন্তু আবাসনকে সেভাবে দেখা হয় না। সকলের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করতে হলে আবাসন খাতকে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। গ্রামে-গঞ্জেও রিয়েল স্টেট হওয়া দরকার। শহরের বাইরে গিয়ে বড় বড় সিটি হওয়া দরকার। এটি আমাদের দেশে হয় না। আমাদের দেশে জায়গার দাম বেশি। সরকার রাউজক কিংবা সিডিএর মাধ্যমে প্লট তৈরি করে বিক্রি করছে। এতে করে আবাসন সৃষ্টি হচ্ছে না, ব্যবসা হচ্ছে। পৃথিবীর অন্য অনেক দেশে শহরের বাইরে বড় বড় উপশহর গড়ে উঠেছে। যেখানে স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, বিনোদন কেন্দ্র, মার্কেট, মসজিদ একত্রে থাকে। এক্ষেত্রে সরকার উদ্যোগী হয়ে জায়গা অধিগ্রহণ করে প্রাইভেট সেক্টরকে দিয়ে দিলে নতুন নতুন আবাসন তৈরি হবে।
তিনি বলেন, মানুষকে শহরের বাইরে যাওয়ার জন্য সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। এতে করে নগরের ওপর চাপ কমবে। এজন্য সুযোগ সুবিধাগুলো সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। শহরের বাইরে আবাসন গড়ার ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে হবে। আবার বিনিয়োগ করলেই হবে না, গ্রাহক তৈরি করতে হবে। যারা ফ্ল্যাট কিনবেন তাদের সুবিধাও তৈরি করতে হবে। আবাসনের ক্ষেত্রে বাহ্যিক ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ফি অনেক বেশি। নিবন্ধন ফি কমাতে হবে।
এ ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে ব্যাংক ঋণের সুদ ৯ শতাংশে নেমেছে। এই ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের সুদ কমিয়ে ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে এনে দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে বাসা ভাড়ার টাকাতেই মানুষ ফ্ল্যাটের মালিক হয়ে যেতে পারবেন। এটি ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে শুরু হয়েছিল। ওই সময় আবাসন সেক্টর অনেক গ্রো করেছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের এ সুযোগ দেওয়া হয়। আমাদের এখানেও রি-ফাইনান্সিংয়ের সুযোগ তৈরি করা গেলে, বিষয়গুলো সরকার পলিসিতে আনলে আবাসন সেক্টর অনেক এগিয়ে যাবে।












