আবার অনুশীলনে নেমে পড়ছে টাইগাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

শ্রীলংকা সফরে যাওয়া হলো না। তাই চার দিন বিরতি ছিল ক্রিকেটারদের অনুশীলনে। তবে বেশিদিন বসে থাকতে চান না ক্রিকেটাররা। তাই আজ থেকে আবার অনুশীলনে নেমে পড়ছে ক্রিকেটাররা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া এই অনুশীলন চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। যেহেতু শ্রীলংকা সফর স্থগিত হয়ে গেছে আজ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অনুশীলনে টাইগাররা মূলত আসন্ন ঘরোয়া ক্রিকেটের লক্ষ্যেই নিজেদের প্রস্তুত করবেন। তার আগে গতকাল সম্পন্ন হয়েছে ক্রিকেটারদের চতুর্থ দফার করোনা পরীক্ষা। জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব১৯ দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও সাপোর্ট স্টাফসহ প্রায় ১শ জনের করোনা পরীক্ষা করিয়েছে বিসিবি। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ জাতীয় দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও সাপোর্ট স্টাফেরা আজ থেকে ১৫ দিন হোটেলে থেকে অনুশীলন ও তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেবে। আর এর মধ্য দিয়েই আবার করোনাকালে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করবে ক্রিকেটাররা।

শ্রীলংকা সিরিজ সামনে রেখে গত ২০ সেপ্টেম্বর করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে বিসিবি কর্তৃক তৈরিকৃত জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকেছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। করোনার সময়ে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই বলয় তৈরি করা হয়েছিল টিম হোটেল ও অনুশীলন ভেন্যু মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। ওই দিন থেকেই মুশফিকমুমিনুলদের এক সপ্তাহের স্কিল ট্রেনিং শুরু হয়েছিল। যেখানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ২৭ ক্রিকেটারের। কিন্তু কোভিড সতর্কতায় ১১ ক্রিকেটারকে আইসোলেশনে রাখায় ওই দফায় সবার একসঙ্গে অনুশীলন সম্ভবপর হয়ে উঠেনি। কেননা এর মধ্যে দুজন করোনা পজেটিভ ছিলেন। এক সপ্তাহের টানা তিন দিন ১৬ ক্রিকেটার মূল ভেন্যুতে অনুশীলন করেছে। এবং টিম হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ছিলেন। বাকিরা অবস্থান করেছেন জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি ভবনে এবং তারা অনুশীলন করেছেন একাডেমির মাঠে।

এরপর শেষ দিন অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বরের অনুশীলনে মোট অংশ নেয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা ছিল ২৫ জন। যোগ দিতে পারেননি কেবল সাইফ হাসান ও আবু জায়েদ রাহি। আবু জায়েদ রাহি করোনা আক্রান্ত বিধায় যোগ দিতে পারেননি। আর সাইফ হাসান যোগ দেননি ব্যক্তিগত কারণে। আজ থেকে সবাই অনুশীলনে যোগ দেবে তেমন আশা বিসিবির।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরশিদ খানের কণ্ঠে মায়ের কথা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রণোদনার টাকার জোয়ারে মূল্যস্ফীতি বাড়ার শঙ্কা