চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দুধ না দেয়ায় সদ্য জন্ম নেয়া দুইটি বাঘের বাচ্চা মারা গেছে। অবশ্য অপর বাঘ দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া তিনটি বাঘের বাচ্চা ভালো আছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ দৈনিক আজাদীর সাথে আলাপকালে জানান, চিড়িয়াখানায় দুইটি বাঘ দম্পতির ঘরে একদিনের ব্যবধানে পাঁচটি বাচ্চার জন্ম হয়েছিল। এতে আমরা বেশ খুশী হয়েছিলাম। কিন্তু এবারও ২ বছর ৮ মাস বয়সী জয়া তার বাচ্চাদের দুধ দেয়া বন্ধ করে দেয়। এতে করে তার গর্ভে গত ৭ মে জন্ম নেওয়া বাচ্চা দুটি দুইদিনের মাথায় গত ৯ মে মারা যায়। এর আগেও ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর জয়া তিনটি বাচ্চার জন্ম দেয়। কিন্তু প্রসবের একদিন পর আচমকা তিন শাবককে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দিয়েছিল সে। ফলে দুধের অভাবে একটি বাচ্চা পরের দিনই মারা যায়। এরপর অপর দুই বাঘ শাবককে বাঘিনী জয়া থেকে আলাদা করা হলে তিনদিনের মাথায় গত বছরের ১৮নভেম্বর দ্বিতীয় শাবকটি মারা যায়। ওই সময় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শুভ একটি বাচ্চাকে নিজের হাতে লালন পালন করতে থাকেন। মানুষের আদর যত্নে বেড়ে উঠা ওই বাঘ শাবকটির নাম রাখা হয় জো বাইডেন। জো বাইডেন এখন ভালো থাকলেও সদ্য জন্ম নেয়া তার দু বোন মায়ের দুধ না পেয়ে মারা গেছে।
অপরদিকে বাঘ দম্পতি রাজ ও পরীর ঘরে গত ৬ মে জন্ম নেয় তিনটি শাবক। তিনটি শাবকই পুরুষ বাঘ। তিনটি শাবকই মায়ের দুধ খাচ্ছে এবং মায়ের আদর যত্নে রয়েছে। ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে দক্ষিন আফ্রিকা থেকে আনা রয়েল বেঙ্গল টাইগার জাতের রাজ ও সাড়ে ৬ বছর বয়সী পরীর পরিবারে জন্ম নেয়া এই ৩টি শাবকসহ চিড়িয়াখানায় মোট বাঘের সংখ্যা নয়টিতে উন্নীত হয়েছে। যা যে কোন চিড়িয়াখানার জন্যই একটি ভালো খবর বলেও তিনি মন্তব্য করেন।












