আবারও অস্থির পেঁয়াজের বাজার

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৫ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

দেশের বাজারে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজে দরবৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজে বাজার চড়া বলছেন ব্যবসায়ীরা। গত তিনদিনের ব্যবধানে পাইকারীতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। ভোক্তারা বলছেন, বছরের শেষের দিকে পেঁয়াজের দরবৃদ্ধি নতুন কিছু নয়। গত বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সংকটের অজুহাত দেখিয়ে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। সরকার দেশি পেঁয়াজ চাষীদের পেঁয়াজ চাষে উদ্বুব্ধ না করলে পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নগরীর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিনদিনের ব্যবধানের ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৩ টাকায়। এছাড়া মিয়নমারের পেঁয়াজ কেজিতে ৭ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের বুকিং দর বাড়ার কারণে পেঁয়াজের আবার অস্থির হতে শুরু করেছে। এছাড়া বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহও কিছুটা কমে গেছে। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। পেঁয়াজের বাজারে তাই কৃত্রিম সংকট করার সুযোগ নেই। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের আমাদের দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের ঘোষণা পর পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। তখন ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার সামাল দেয়ার চেষ্টা করে। এর আগে গত ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর দেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কেজিতে দ্বি-শতক ছাড়িয়ে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চার ইউনিট চালু
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬