আফ্রিকাকে বিশ্বকাপে আর কত উচুঁতে নেবে মরক্কো

| মঙ্গলবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

মরক্কো জাতীয় ফুটবল দলের ডাক নাাম ‘দ্য অ্যাটলাস লায়ন্স’। কাতার বিশ্বকাপে দলটি সিংহের মতোই হুঙ্কার দিয়ে এগুচ্ছে। প্রথম পর্ব, শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার ফাইনালের চৌকাঠ পেরিয়ে তারা এখন সেমিফাইনালে। শেষ চারে নাম লেখানোর মধ্য দিয়ে ইতিহাস রচনা করেছে তারা। সে ইতিহাস কেবল মরক্কোর নয়। পুরো আফ্রিকার। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা আফ্রিকা মহাদেশের প্রথম দল যে মরক্কো।

আরব দেশের সদস্য দেশটির এ কীর্তিগাথায় আন্তর্জাতিক ফুটবলে মাথা উঁচু করে দাঁড়ালো আফ্রিকা। নিজেদের এবং আফ্রিকার ফুটবলকে আর কত উঁচুতে তুলতে পারবেন তারা। ফাইনাল কিংবা চ্যাম্পিয়ন যাই হোক সেটা নতুন অর্জন হবে তাদের। আর কিছু পাওয়ার নেই। খেলে যাও বুক চিতিয়ে।

এই মন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে মরক্কো সেমিফাইনালে খেলতে নামবে ফ্রান্সের বিপক্ষে। ১৯৯৮ ও ২০১৮ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে মরক্কো কি পারবে নিজেদের আফ্রিকার ফুটবল ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করতে। না পারলেই কী? নতুন ইতিহাস গড়া তো হয়েই গেছে তাদের। পরের যা কিছু অর্জন হবে, তা পালক হয়ে যোগ হবে ইতিহাসের মুকুটে।

ফুটবল দিন শেষে গোলের খেলা। জয়ী দলটিকেই মনে রাখে সবাই। কিন্তু হেরে গেলেও ফুটবল ইতিহাসে লেখা হয়ে থাকবে মরক্কোর নামটি। পুরো আফ্রিকা তাদের বাহবা দেবে ততদিন, যতদিন না ওই মহাদেশের অন্য কোন দেশ তাদের অর্জনকেও ছাড়িয়ে যাবে। অনেকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালটা মরক্কো এবং আর্জেন্টিনা বা ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে হলে হতেও পারে। ফুটবল অবশ্য এইসব সমীকরণ মানে না।

দিন যার, ম্যাচ তার। ফ্রান্স-মরক্কো সেমিফাইনালের দিনটা মরক্কোর হবে না-কে বলতে পারে? এই বিশ্বকাপে মরক্কোর জালে প্রতিপক্ষরা বল পাঠাতে পারেনি। গ্রুপ পর্বে কানাডার কাছে একটি গোল তারা খেয়েছিল সেটা ছিল আত্মঘাতি।

এরই মধ্যে যারা মরক্কোর সমর্থক হয়ে গেছেন তাদের জন্য আরো মজার তথ্য হলো, এই বিশ্বকাপে কোন ম্যাচতো নয়ই, এমন কি তারা আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বশেষ ১০ ম্যাচের একটিও হারেনি। টানা ৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল মরক্কো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বকাপের পরও কোচ দেশমকে চায় ফ্রান্স
পরবর্তী নিবন্ধমরক্কোর সঙ্গে সব শক্তি দিয়ে লড়তে হবে ফ্রান্সকে