আপিল করা ব্যতীত প্রস্তাবিত পৌরকরের অসঙ্গতি দূর করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। ২০১৭ সালের ধার্যকৃত পৌরকরের অসঙ্গতি দূর করার জন্য আপিল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল বুধবার সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে নগর বাইশ মহল্লা কমিটির নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করতে এলে তাদের এসব কথা বলেন মেয়র।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কোনো প্রকার পৌরকর বৃদ্ধি করা হয়নি। এরপরও হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে একটি মহল গৃহকর নিয়ে প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, পৌরকর সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য ২০১৭ সালে মূল্যায়নকৃত গৃহকর নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে পূর্বের বকেয়া পরিশোধ করে আপিলের মাধ্যমে তা নিরসন করার জন্য নগরবাসীকে অবহিত করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, গৃহকর মূল্যায়ন অতিরিক্ত মনে হলে আপিলের সুযোগ আছে। আপিল ফরম সার্কেল অফিসের পাশাপাশি ওয়ার্ড অফিসে পাওয়া যাচ্ছে। আপিল শুনানির মাধ্যমে আপিলকারীর অভিযোগ আমলে নিয়ে সর্বোচ্চ সহনীয় পর্যায়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পুর্ননির্ধারণ করা হচ্ছে।
এ সময় নগর বাইশ মহল্লা কমিটির সভাপতি মো. ইউসুফ সর্দ্দার বলেন, আপিল কার্যক্রমে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কাছে অনিয়মের অভিযোগ আসছে তা দূর করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ বিষয়ে আরো সতর্ক হওয়ার জন্য মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে মেয়র বলেন, গৃহকর মূল্যায়ন ও আপিল বিষয়ে নগরবাসীর বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপিল বা কর পরিশোধ করতে গিয়ে চসিকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা হয়রানির শিকার হন সেক্ষেত্রে আমার পিএস অথবা রাজস্ব কর্মকর্তাকে অবহিত করার জন্য স্থানীয় সকল পত্রিকায় যোগাযোগের নম্বরসহ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। নগরবাসীর কোন অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তে কোনো করদাতা অসন্তুষ্ট হলে তাও বিবেচনা করা হবে। এ বিষয়ে কোন প্রকার বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যও মেয়র নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি শওকত হোসাইন কামরু, সাবেক কমিশনার আলী বক্স, সালাউদ্দিন ইবনে আহমেদ, মোহাম্মদ তারেক ও জাহিদ হোসেন।
মেয়র নগরের যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে চলমান অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমে বাইশ মহল্লা সর্দ্দার কমিটির সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের দুই জন ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিচ্ছন্ন বিভাগ প্রতিদিন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যাচ্ছে। উচ্ছেদকৃত স্থান যাতে পুনরায় দখল করতে না পরে সে ব্যাপারে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারনে।