নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও কেলেঙ্কারিতে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করে নেপথ্যে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করা, সিন্ডিকেটে তিন ক্যাটাগরির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে চবি শিক্ষক সমিতি। চার দফা দাবি আদায়ে তিন দিন সময় বেঁধে দেয় সংগঠনটি। অন্যথায় আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
গত সোমবার চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারকে বিষয়গুলো জানানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা দাবিগুলো হল– চবি প্রশাসনের সিন্ডিকেটে অবশিষ্ট ক্যাটাগরির (ডিন, প্রভোস্ট, একাডেমিক কাউন্সিল ইত্যাদি) শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত অডিও কেলেঙ্কারিতে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। বিজ্ঞাপিত পদের অতিরিক্ত কিংবা বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশ ছাড়া বিজ্ঞপ্তি দেওয়া ও বাতিল আবেদনকারীদের নিয়োগের সুপারিশ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের সুরাহা করা। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সমিতির দাবি উপেক্ষা করে পরিচালিত বিভিন্ন অনিয়ম ও অসঙ্গতির বিষয়ে সন্তোষজনক ও গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া।
চিঠিতে বলা হয়, বর্তমান উপাচার্য ও উপ–উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ অনুযায়ী বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন দেননি। যথাসময়ে বেশ কিছু শিক্ষকের পদোন্নতির নির্বাচনী বোর্ড সভাও ডাকা হয়নি। পদোন্নতিতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী বিভিন্ন অনিয়ম–অসঙ্গতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাতে শিক্ষকদের মধ্যে বর্তমান প্রশাসনের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন দাবি আমলে না নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩–কে অবজ্ঞা করছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই দেশের অন্যতম সেরা এ বিদ্যাপীঠে বিরাজমান প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও অসঙ্গতি আর চলতে দেওয়া যায় না। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে সার্বিক বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চবি শিক্ষক সমিতি প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানায়।
চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যত অনিয়ম–অসঙ্গতি হয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় খবর এসেছে, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এগুলো এখনই বন্ধ হওয়া দরকার বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে।