আনোয়ারায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বধ্যভূমি ও গণকবরের স্থানগুলো সংরক্ষণে উদ্যোগ নেই। ফলে অরক্ষিত রয়ে গেল শহীদদের রক্তে রঞ্জিত সেই স্থানগুলো। এতে মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরতার আলামতগুলোও কালের বিবর্তনে বিলীন হয়ে গেছে।
আনোয়ারায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরতায় মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫ শতাধিক মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। পরবর্তীতে তাদের বন্দর বধ্যভূমি,বারশত সুরমা পুকুরপাড় বধ্যভূমি, চাঁনখালী ঘাট বধ্যভূমি,বটতলী,দক্ষিণ বন্দর, উত্তর বন্দর (হোট্টপাড়া), জয়কালী বাজারের ভরাদিঘীর পাড় সহ বিভিন্নস্থানে গণকবর দেয়া হয়। এরমধ্যে গত ২০১১-১২ সালে ৫০ শতক জমিতে প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রয়াত আলহাজ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এমপির উদ্যোগে বন্দর বধ্যভূমি স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়। অন্যগুলো অরক্ষিত থাকায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান,গণকবরের স্থান চিহ্নিত করে রক্ষণাবেক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে গণকবর চিহ্নিত করে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।