লোহাগাড়ার আধুনগরে ডলু খালে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সরদানী পাড়ায় এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যে কোনো মুহুর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে প্রায় ২ শতাধিক বসতঘর। পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত যাপন করছেন বসতঘরের লোকজন।
জানা যায়, আধুনগর সরদানী পাড়ায় ডলু খালের পাড় ঘেষা গারাঙ্গিয়া রশিদিয়া সড়কে এই ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। আধুনগর বাজার হতে মছদিয়া হয়ে গারাঙ্গিয়ার আলুরঘাট পর্যন্ত এই সড়ক বিস্তৃত। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সওদাগর পাড়া, সিপাহী পাড়া ও মছদিয়া বড়ুয়া পাড়ার প্রায় ৫–৬ হাজার লোকজন যাতায়াত করেন। এছাড়াও মছদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী সামশুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয়, গারাঙ্গিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। সম্প্রতি কয়েকদিনের টানা বর্ষণে সড়কের ওই স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরেজিমেন দেখা যায়, আধুনগর ইউনিয়নে ডলু খাল ঘেষা গারাঙ্গিয়া রশিদিয়া সড়কের একাধিক অংশে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্লক দিয়ে খালের ভাঙন সংস্কার করেছে। সম্প্রতি বৃষ্টির ফলে খালের পানি বেড়ে যাওয়ায় সরদানী পাড়া এলাকায় ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ভাঙনের ফলে ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে খালের পানি বেড়ে গেলে ভাঙা স্থান দিয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়বে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরদানী পাড়াসহ আশপাশের এলাকার লোকজন।
স্থানীয় নুরুল আমিন জানান, গারাঙ্গিয়া রশিদিয়া সড়কটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। ডলু খালের সরদানী পাড়ায় ভাঙনে এই সড়কটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল এলে ডলুর পানি ঢুকে সরদানী পাড়া প্লাবিত হতে পারে। বিলীন হয়ে যেতে পারে বহু বসতঘর। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন এলাকাবাসী। তাই ডলুর ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জানান, সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে খালে পানি বেড়ে যাওয়ায় ডলু খালে গারাঙ্গিয়া রশিদিয়া সড়কের সরদানী পাড়ায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল এলে ভাঙা অংশ দিয়ে ডলুর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়বে। প্লাবিত হতে পারে সরদানী পাড়াসহ আশপাশের এলাকার প্রায় ২ শতাধিক বসতঘর। ভাঙন দ্রুত সংস্কারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ–সহকারী প্রকৌশলী ধীমান কৃষ্ণ চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই এই ব্যাপারে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।