আত্মীয়ের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন মুছা

মিতু হত্যা মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১০ আগস্ট, ২০২৩ at ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু খুনের আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার মুছার আত্মীয় কাজী আল মামুন। গতকাল চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন তার সাক্ষ্য রেকর্ড করেন।

সাক্ষ্যে মামুন বলেন, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা আমার সাবেক স্ত্রী আবেদা জান্নাত মিমের আপন খালু। সেই সুবাদে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে মুছা সপরিবারে আমাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। তখনই মুছার সাথে আমার প্রথম দেখা ও পরিচয়। ২০১৬ সালের জুন মাসের শুরুর দিকে মুছার মোবাইল, যার শেষ দুই ডিজিট ৯১, সেটি থেকে আমাকে ফোন দেন। ফোন করে বলেন, তোমার নম্বর বিকাশ আছে? আমি বলি, আমার দুটি নম্বরই বিকাশ করা। আমি পাল্টা জানতে চাই, আঙ্কেল আমার বিকাশ নম্বর কেন চাচ্ছেন। তখন তিনি বলেন, আমার এসপি স্যারের এক লোক আমাকে কিছু টাকা পাঠাবে। তখন আমি আবার বলি, আপনার টাকা আমার কাছে কেন পাঠাবেন? তখন তিনি (মুছা) বলেন, আমি চিটাগাং এ নাই, বাইরে আছি।

তিনি বলেন, তুমি ক্যাশ করে রাখিও। আমার কোনো লোক পরে পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করলে তুমি টাকাগুলো বিকাশ করে দিও। সাক্ষ্যে মামুন আরো বলেন, সম্ভবত ২০১৬ সালের ১০ জুন সন্ধ্যার দিকে আমাকে এক লোক ফোন করেন। মোবাইল নম্বরটির শেষ দুই ডিজিট সম্ভবত ৩১। ফোনে ওই লোক বলেন, আমি মুছাকে চিনি কিনা? তখন আমি বলি, হ্যাঁ মুছা আমার আত্মীয়, তাকে আমি চিনি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি, আপনি কে? তখন তিনি বলেন, আমি মুছা এবং এসপি বাবুল আক্তার স্যারের পরিচিত লোক। মুছা আপনার কাছে কিছু টাকা পাঠাতে বলেছে, আপনার বিকাশ নম্বর দেন। তখন আমি নিজের দুটো ফোন নম্বর তাকে দিই। উনি বলেন, দুটো নম্বরে তো ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা যাবে। আমি আপনাকে টাকা পাঠাব এক লাখের মত। আপনি আরো একটি নম্বর দেন। পরে আমার বন্ধুর দোকানের নম্বরটি দিই। কিছু সময় পরে, আমার দুটি নম্বরে ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার এবং বন্ধুর দোকানের নম্বরে ৪৯ হাজার টাকা আসে। দোকানের নম্বরে আসা টাকাটা আমি ক্যাশ করে নিয়ে যাই। আমার দুটি নম্বরে থাকা টাকা মোবাইলেই থাকে। মামুন আরো বলেন, এর দুই দিন পর এক লোক মুছার রেফারেন্স দিয়ে টাকাগুলো চাইলে আমি পাঠিয়ে দিই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাহাড়ের ‘জঙ্গি আস্তানা থেকে পালিয়ে’ র‌্যাব অফিসে ৪ তরুণ
পরবর্তী নিবন্ধসেপ্টেম্বরে চালু হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ দুই সড়ক