আত্মহত্যা নয়, চাই আত্মশুদ্ধি

শিউলী নাথ | মঙ্গলবার , ৫ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

বিষাদ বিষাদ বিষাদ বলিয়ে কেনই কাঁদিবে জীবন ভরে,/ মানবের মন এতই কী অসাড় এতই সহজে নুইয়া পরে?”- কবি কামিনী রায় মানুষের ধৈর্যের গুনগান করেছেন। আজকাল সংবাদ মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে ‘আত্মহত্যা’। স্রষ্টা আমাদের মানবিক, নৈতিক, আধ্যাত্মিক জীবনবোধের সকল গুণাবলি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তাই অন্যান্য প্রাণিকুল থেকে আমরা আলাদা। আমাদের থাকবে ধৈর্য, সহ্য, মান, মহত্ত্ব, উদারতা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা। অথচ সেই আমরাই আবেগের বশে ধৈর্য হারিয়ে আত্মহত্যা করছি। যা পাপের পরিচায়ক। এই ‘আত্মহত্যা’-নির্দিষ্ট কোনো বয়স বা শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। কখনো আবদার মেটাতে অক্ষম বাবা-মায়ের সাথে অভিমান, বন্ধুত্বের হিংস্র থাবা, প্রেমিক-প্রেমিকার প্রতারণা, ব্যবসায় বড় ক্ষতি, স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব, সর্বোপরি বেকারত্ব ও ক্ষিদের জ্বালা সহ্য করতে না পারা ইত্যাদি কারণেই আত্মহত্যা ঘটছে। অনেকে বলবেন কতখানি তিক্ত হলে মানুষ আত্মহত্যা করে! কিন্তু জীবনতো একটাই। আর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে উত্থান পতন আসবেই। তাই বলে আত্মহত্যা করার মত হীন সিদ্ধান্ত নেয়াটা চরম বোকামি। সন্তানকে বুঝতে হবে বাবা-মায়ের পরিস্থিতি ও অনুভূতি। অন্যের সাথে তুলনা না করে বরং পরিবারের সাথে থেকে আদর্শ মানুষ হবার ব্রত নিতে হবে। মহামানব ও মনীষীদের জীবনী, কবি- সাহিত্যিকদের রচনা, মহান রাজনীতিবিদদের জীবনদর্শন, সঠিক ধর্মচর্চা এবং সৎ সঙ্গের মাধ্যমে আমাদের মনের সংকীর্ণ আবেগ দূর করা সম্ভব। এতে করে সাময়িক কষ্ট হলেও বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের ফলে আত্মহত্যার মতো হীন প্রবৃত্তি আর জাগবে না। তাই আর আত্মহত্যা নয়, চাই আত্মশুদ্ধি!

পূর্ববর্তী নিবন্ধযাত্রা শুভ হোক নগরীর ক্যান্সার হাসপাতালের
পরবর্তী নিবন্ধভাবনায় পেয়েছে আজ আমায়