আজ ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। ‘বিনিয়োগে অগ্রাধিকার, কন্যাশিশুর অধিকার’ এই প্রতিপাদ্যে এবার দিবসটি সারা দেশে পালন করা হবে, সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এজন্য র্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। ২০০৩ সালে কন্যাশিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ৩০ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। খবর বাসসের।
জাতীয় কন্যাশিশু দিবস–২০২৩ উপলক্ষ্যে গতকাল এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশে সফল নেতৃত্বের বিকাশে কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষায় আরো বেশি সচেষ্ট হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, এ দিবস উপলক্ষ্যে দেশের সকল কন্যাশিশুসহ সব শিশুর প্রতি রইল আমার আন্তরিক স্নেহ ও ভালোবাসা। আজকের কন্যাশিশুর মধ্যেই সুপ্তভাবে বিরাজ করছে আগামী দিনের আদর্শ মা। কন্যাশিশুদের জন্য বিনিয়োগ হবে যথার্থ বিনিয়োগ। কারণ আজকের কন্যাশিশুই আগামী দিনে গড়ে তুলতে পারবে একটি শিক্ষিত পরিবার ও বিশ্বসভায় নেতৃত্ব দানে পারদর্শী সুযোগ্য সন্তান। তিনি জাতীয় কন্যাশিশু দিবস–২০২৩ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কন্যাশিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ তথ্য–প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকার লক্ষ্যে উন্নত বিশ্বের সুদক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল কন্যাশিশুকে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক স্নেহ ও ভালোবাসা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, কন্যাশিশুদের বিকশিত হওয়ার প্রতিটি পদক্ষেপে এবং তথ্য–প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তাহলে তারা যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক হয়ে উঠবে এবং আগামীর উন্নত–সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট’ বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।