আজ আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়

| শুক্রবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৪ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আজ শুক্রবার সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসছেন। বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকারের সময়ে এটিই প্রথম কোনো সরকারপ্রধানের বাংলাদেশ সফর। সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সফর হবে খুবই সংক্ষিপ্ত। তিনি শুক্রবার দুপুর ২টায় পাকিস্তান থেকে ঢাকায় আসছেন। আবার একই দিন রাত ৮টার দিকে ঢাকা ছাড়বেন। খবর বাংলানিউজের। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সফরে অর্থনীতি, রাজনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা সহযোগিতা, ব্যবসা ও বিনিয়োগ, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো গুরুত্ব পাবে।

অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে গত ১৩ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম টেলিফোনে স্বাগত জানান এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। একইসঙ্গে তিনি নবগঠিত অন্তর্র্বর্তী সরকারকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন। টেলিফোনে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এ ছাড়া মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বাংলাদেশে সরকারি সফরে আসছেন। প্রায় এক দশক পর মালয়েশিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলে সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী, পরিবহন উপমন্ত্রী, ধর্মবিষয়ক উপমন্ত্রী, দুজন সংসদ সদস্য এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ আরও কিছু প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

২০২৫ সালে মালয়েশিয়া আসিয়ান জোটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবে। ফলে, আসিয়ান জোটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানানো হবে এ সফরে। এ ছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আসিয়ানে বাংলাদেশের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার বিষয়টিও বিশেষভাবে উত্থাপিত হবে।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে ঢাকা পৌঁছালে তাকে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সফরটি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গভীরতা ও স্থায়ী বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পরিগণিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রে দেখা যাবে সাকিব-তামিমের দ্বৈরথ
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬