আজাদী ও চট্টগ্রাম একে অপরের পরিপূরক

নাজনীন আমান | বৃহস্পতিবার , ৬ অক্টোবর, ২০২২ at ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

ভোরের নিস্তব্ধতা আর সোনা রোদ। সাথে এক কাপ লিকার চা আর পত্রিকা। আয়োজনটা বেশ চমৎকার। পত্রিকাটা যদি হয় নিজ বিভাগের, নিজ অঞ্চলের তাহলে তো আর কথাই নেই যাকে বলে সোনায় সোহাগা। বলছি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা আজাদীর কথা। গত ৫ ই সেপ্টেম্বর ছিল আজাদীর ৬৩ বছর জন্মদিন। তার জন্য আজাদীকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
৬২ বছর – বেশ লম্বা একটি সময়। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় আজাদীকে অতিক্রম করতে হয়েছে সংগ্রামী একটি পথ। যে পথে ছিল শত শত বাধা, হাজার হাজার বিপত্তি। তবুও থেমে থাকেনি আজাদীর পথ চলা। বাধা-বিপত্তিগুলো মনে জাগিয়েছে সাহস, সঞ্চার করেছে দৃঢ় মনোবল। সকল বাধা পেরিয়ে সব যুদ্ধ কে জয় করে তবেই তো হাতে পেয়েছে বিজয় মুকুট। চট্টগ্রামের বুকে এঁকে দিয়েছে বিজয় নিশান। আর তার জন্যই আজকের আজাদী বিশ্বদরবারে সমাদৃত ও প্রশংসনীয়। আর এর পিছনে যার অক্লান্ত পরিশ্রম বা যাঁর হাত ধরে আজাদীর পথ চলা তিনি হলেন ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবদুল খালেক। যিনি চট্টগ্রাম ও তার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন, মাথা উঁচু করে বাঁচাতে শিখিয়েছেন। চট্টগ্রামের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, জীবনধারা, শিল্প-সাহিত্য সকল কিছুকে তুলে ধরেছেন বিশ্ব দরবারে। চট্টগ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে আলোকবর্তিকা হয়ে আসে দৈনিক আজাদী। পৃথিবীর যে কোণেই থাকুক না চাটগাঁইয়া মানুষ আজাদী পড়া চা-ই চাই যে কোনো উপায়ে, যে কোনো ভাবে। পরিশেষে বলতে চাই আজাদী ও চট্টগ্রাম একে অপরের পরিপূরক। আবারও আজাদীর জন্য রইল শুভ কামনা। তার পথ চলা আরও সুগম হোক, জয় হোক। চট্টগ্রামের মানুষের চেতনার বাতিঘর ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেক তাঁর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও দোয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভালো কাজে তরুণদের সহায়তা করা প্রয়োজন
পরবর্তী নিবন্ধস্বদেশে বসে এখনো পাকিস্তানপ্রীতি!