পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বায়োমেট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া ‘অজ্ঞাত ব্যক্তির’ মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম কবির হোসেন। তিনি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বড় বাড়ির জমির হোসেনের ছেলে।
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে রোববার (৩ অক্টোবর) রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুর দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অজ্ঞাত হিসেবেই চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখার পর অজ্ঞাত রোগীর বন্ধু হিসেবে পরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সাইফুল ইসলাম নেসার পিবিআই এর কাছে তার পরিচয় শনাক্তে সাহায্য চান। এরপর পিবিআই এর সদস্যরা এসে মরদেহের আঙ্গুলের ছাপ নেন। এতে ডিসপ্লেতে মেলে ওই ব্যক্তির নাম, পরিচয় ও ঠিকানা।-বাংলানিউজ
সাইফুল ইসলাম নেসার বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চমেক হাসপাতালে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করার ঘটনা এটাই প্রথম। পরিচয় পাওয়ার পর খর দেওয়া হয় পরিবারের কাছে। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
‘চমেক হাসপাতাল সহ দেশের সব হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বায়োমেট্রিক ডিভাইস ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হলে অজ্ঞাত রোগী বা নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা আরও সহজ হবে’। জানা যায়, পিতার কর্মস্থলে আসার পথে ভাটিয়ারিতে গাড়ি থেকে নামার পর সড়ক পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন কবির হোসেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর এসআই আফসার উদ্দিন জানান, সাইফুল ইসলাম নেসার এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে বায়োমেট্রিক মেশিন দ্বারা অজ্ঞাত যুবকের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। এরপর তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পেয়ে পরিবারকে খবর দেওয়া সম্ভব হয়।