তুমি দেখে ভয় পাবে
ভালুকের দাড়ি গোঁফে ভর্তি
নেই কোনো কাটতি ভারসাম্যহীন, শীতে বাড়ে প্রকোপ
লাগাম নেই মুখে অশোভন কথা উদ্ভট আচরণে
হাঁটে তীব্র তাপদাহে ঘাম ঝরে গরম রোদে আগুন ঝাড়ে
সূর্যের উষ্ণতা দেহে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গে
ঠোঁটের ফাঁক মানে ফেটে যাওয়া
চৈত্রের কাদামাঠ শুষ্ক পুকুর জলহীন জলাভূমি
শুরুতে কালবৈশাখী উড়িয়ে নেয়া ঘরের চালা
বিজলির লাল ঝিলিক বৃষ্টিহীন বজ্রপাতের হুংকার
আগুন মানুষের তান্ডব পরিবারে
নিজের নয় স্ত্রী–বেচারীর দোষ ধরে
উগ্র মেজাজের প্রকাশ ঘটায়: ‘তোমার সাথে আর থাকা নয়,
এখানেই শেষ, চব্বিশ ঘণ্টায় ছেড়ে যাবো সঙ–সার!’
তুমি মানো না মানো আমি বলি– পাগলামো ছাড়া আর কী!
সন্তান ভয়ে আড়ষ্ট, তার দুচোখ বেয়ে
ব্যথার জল গড়িয়ে পড়ছে
দেখে তুমি অবাক হবে।
নিজে ভালো জগৎ ভালো
‘পরদোষ পরিহার, নিজ দোষ ধ্যান ’–এ
আত্ম সমালোচনায় দিন কাটায়
সন্তান বুকে বিচক্ষণ কুলনারী।