সোনা যাদু আমার পড়ে আছে
রাতভর নিসাড়, নিথর
কে আছো? কেউ কি আছো ?
তুলে ধর বাছারে আমার, কেমনে সইবো
মা যে আমি তাঁর।
বত্রিশ নম্বরের দেয়াল জুড়ে আমার চিৎকার।
রাত বাড়ে, বাড়ে অভিমানি মেঘের নিকষ আঁধার।
সারা বাড়ি খুঁজি, নিরুত্তর চারিধার।
এঘরে, ওঘরে পড়ে আছে লাশ আর লাশ;
কুসুম কাননে এ কোন কীট বাস?
কোথায় জনতার উত্তাল সমুদ্র? কোথায় অধীর শ্রোতা?
অস্ত গিয়েছে গণসূর্য, কেউ জানলে না সে করুণ গাঁথা।
কোন্ বিভীষণ? কোন সে পাপিষ্ঠজন
করলো হরণ আমার বুকের ধন?
তোমরা না তাঁকে বন্ধু জেনেছো?
মেনেছো জাতির পিতা?
তবে কেন আমার শ্যামল আঁচলে
রক্তিম সাজে তাঁর অন্তিম শয্যা পাতা?
টুঙ্গিপাড়ায় ভিটের ছায়ায় মাতৃকোলে নিবিড় মায়ায়
মধ্যাকাশের দিনমনি মোর আঁধার গোরে ঘুমায়।
কে আছো? কেউ কি আছো?
স্বাধীন দেশের পতাকা তলে
কোন জালিমের কারাগারে আছো?
তুলে ধর বাছারে আমার; সইতে পারিনা
মা যে আমি তাঁর।
চাপ চাপ রক্তের ছোপ ছোপ দাগে
আমার বুকপাঁজরের ভাঁজে ভাঁজে
আগস্ট এলেই শোকের মাতম লাগে।
শোকের মাতম লাগে, শোকের মাতম লাগে।