আগরতলা মামলার আসামী মুক্তি সংগ্রামের বিস্মৃত নায়ক মানিক চৌধুরী

কুমার প্রীতীশ বল | মঙ্গলবার , ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ

বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের মধ্যে অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব মানিক চৌধুরী আজ বিস্মৃত প্রায় একটি নাম। ১৬ ডিসেম্বর মানিক চৌধুরীর জন্মদিবস। মানিক চৌধুরীর প্রকৃত নাম ভূপতি ভূষণ চৌধুরী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর প্রকৃত নামটি কবে কখন আড়াল পড়ে যায় এখন আর কেউ জানে না। হালে মানিক চৌধুরী নামটিও বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায়,‘ মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ও বিশ্বস্ত অনুসারী ভূপতি ভূষণ চৌধুরী ওরফেমানিক চৌধুরী ছিল আদর্শ ও নীতির প্রশ্নে অত্যন্ত অবিচল একনিষ্ট, নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিবিদ। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং বাংলাদেশের জন্য তাঁর অপরিসীম ত্যাগ চিরস্মরণীয়। আগরতলা মামরায় তিনি অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন।’

১৯৩০ সাল বৃটিশ বাংলার ইতিহাসে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনাকাল। সে বছরে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার হাবিলাসদ্বীপ গ্রামে মানিক চৌধুরীর জন্ম। তাঁর বাবা ধীরেন্দ্রনাথ চৌধুরী চট্টগ্রামের একজন খ্যাতিমান ব্যবসায়ী ছিলেন। চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল স্কুল থেকে ম্যট্রিক পাশ করেন। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছেন কোলকাতার বঙ্গবাসী কলেজ থেকে। ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান লেখাপড়ায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র মানিক চৌধুরী বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রাবস্থায় জড়িয়ে পড়েন। অর্থের কাঙাল হয়ে আপোষকামিতার চোরাবালিতে তিনি অবগাহন করেননি। মাতৃমুক্তি পণে অবিচল থেকেছেন। দেশভাগের পর মানিক চৌধুরী মওলানা ভাসানীর সান্নিধ্যে এসে সক্রিয় রাজনীতিতে ওতোপতোভাবে জড়িয়ে পড়েন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে তিনি এ দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মানিক চৌধুরীর চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভ্থমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মানিক চৌধুরীর পরিচয়ের সূত্র ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। মানিক চৌধুরীর পারিবারিক একটা মামলার কৌঁসুলী ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাঁর কাছে যাওয়াআসার সূত্রে মানিক চৌধুরীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। সাংবাদিক ফয়েজ আহমদের ভাষায়,‘ব্যক্তি মানিক চৌধুরী ছিলেন উদার প্রকৃতির একজন মানুষ, দান করতেন মুক্ত হস্তে। অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক চেতনার কারণে বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের মানুষে পরিণত হয়েছিলেন।’

মানিক চৌধুরী আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী শুধু ছিলেন না, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অর্থের যোগানদাতাও ছিলেন। বিশেষ করে ছয় দফা আন্দোলনের সময়ে মানিক চৌধুরী নিষ্ঠার সঙ্গে উভয় দায়িত্ব পালন করেছেন। আবদুল গাফফার চৌধুরী তখন আওয়াজ নামে একটি সান্ধ্য দৈনিকের সম্পাদক। পত্রিকাটি ছয় দফার পক্ষে শুরু থেকেই সোচ্ছার ছিল। পত্রিকাটি যখন অর্থ কষ্টে ভুগছে তখন বঙ্গবন্ধু গাফফার চৌধুরীকে বলেছিলেন, আমাদের আন্দোলন শুরু হলে সরকারের ভয়ে অনেক কাগজই হয়তো আন্দোলনের খবর ছাপাতে চাইবে না। তখন তোমার কাগজের আরও বেশি দরকার হবে। যদি দেখো, কিছুতেই কাগজ চালিয়ে রাখতে পারছো না, তাহলে মানিক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করো। সে বড় ব্যবসায়ী। আমি তাঁকে তোমার কথা বলে রেখেছি।’ মানিক চৌধুরী চাঁদা তুলে দলের জন্য খরচ করতেন না, তিনি নিজের উপার্জিত অর্থ ব্যয় করতেন। আগরতলা মামলার মানিক চৌধুরীর সহঅভিযুক্ত সুলতান উদ্দিন আহমদ উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা স্বাধীনতার জন্য গোপন আন্দোলনটা করেছিলাম তার জন্য যে অর্থের দরকার ছিল তা পেতাম মূলত চট্টগ্রামের এক আওয়ামী লীগ নেতা মানিক চৌধুরীর কাছ থেকে। চট্টগ্রামের একটি ঘরে আমাকে নিয়ে তিনি ভোল্ট ভর্তি টাকা দেখিয়ে তার একটি চাবি আমাকে দিয়ে বলেছিলেন, তোমাদের যত টাকা লাগবে তত টাকা এখান থেকে নিতে পারবে।’ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ‘নিউ এজেন্সি’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ছিলেন মানিক চৌধুরী অন্যরা বঙ্গবন্ধুর সম্মতি নিয়ে। এই প্রতিষ্ঠানের আয়ের বড় অংশ গোপন আন্দোলনের পেছনে খরচ করা হতো। এই গোপন আন্দোলনটা ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ নামে পরবর্তীকালে ইতিহাসে পরিচিতি লাভ করে। এ সময়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর পক্ষে সৈনিকদের সঙ্গে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মানিক চৌধুরীকে। এ কারণে মানিক চৌধুরী আগরতলা মামলায় সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তারপরও তিনি মুখ খুলেননি। পাকিস্তান সরকারের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং চরম নির্যতানের মুখেও তাঁর সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন। তারপরও মানিক চৌধুরী মুক্তি পাননি। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের সময়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মুক্তি লাভ করেন। এরও আগে ছয় দফা আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা পালনের জন্য পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনে মানিক চৌধুরী গ্রেফতার বরণ করেছিলেন। আগরতলা মামলায় পাকিস্তানের পক্ষে মানিক চৌধুরীদের নির্যাতনকর্ম পরিচালনাকারী কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান পরবর্তীকালে জেনারেল জিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহকর্মীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মানিক চৌধুরী। এডভোকেট সবিতা পাল বলেছেন, ‘আমি শেখ সাহেবের তিন মানিককে চিনিএক ইত্তেফাক সম্পাদক মানিক মিয়া, দুই মানিক চৌধুরী, তিন গাজী গোলাম মোস্তফা মানিক। শেখ সাহেব নিজেই আমাকে বলেছিলেন, আমার তিন মানিককে দিয়ে তিনটি দিক সামাল দিই।’

মানিক চৌধুরীর কারণে তাঁর পুরো পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর ছেলে কাজল চৌধুরী ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন তিনি চট্টগ্রাম নগর আওযামী লীগের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। পিতার মতো তিনিও পদপদবীর প্রতি কোনো লালসা তাঁর নেই। ছয় দফা আন্দোলনের সময়ে ১৯৬৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হরতাল চলাকালে মানিক চৌধুরীর বাসার সামনে মুসলিম লীগের গুন্ডারা আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলা করে। তাদের টার্গেট ছিল আওয়ামীলীগের নেতা এম.. আজীজ। এসময় তিনি আত্মরক্ষার্থে মানিক চৌধুরীর বাসায় ঢুকে পড়েন। তখন মুসলিম লীগের গুন্ডারা মানিক চৌধুরীর বাসা ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে বাসায় ঢুকার চেষ্টা করে। তখন মানিক চৌধুরীর মা ছাটের বারান্দায় গিয়ে নিজের স্বর্ণালঙ্কার ছুঁড়ে ফেলতে থাকেন। মুসলিম লীগের গুন্ডারা তখন সব ছেড়ে স্বর্ণ কুড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়লে সে সুযোগে এম.. আজীজ অন্যত্র সরে পড়েন। বঙ্গবন্ধুরও যাতায়াত ছিল মানিক চৌধুরীর বাসায়। তাঁর মায়ের হাতে রান্না খেতে ভালোবাসতেন।

৭০ সালে মানিক চৌধুরী আবার গ্রেফতার হন। সে বার তিনি প্রায় তিন মাস জেলে ছিলেন। জেল থেকে বের হয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সাংগঠনিক কাজে আরও বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তখনই মানিক চৌধুরী নির্দেশ পেয়ে গিয়েছিলেন অচিরেই সশস্র সংগ্রামে রূপ নেবে চলমান আন্দোলন। ইয়াহিয়া খান ন্যাশানাল এসেম্বলি স্থগিত করলে তাজউদ্দিন আহমেদ ফোন করে তাঁকে ২৫ মার্চের আগে ঢাকা যেতে বলেন। মানিক চৌধুরী দেবদাস চক্রবর্তীকে নিয়ে ২৩ মার্চ ঢাকা আসেন। তারপর ২৫ মার্চ নেমে আসে সেই কালো রাত। মানিক চৌধুরী ১ এপ্রিল পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম ফিরেন। চট্টগ্রাম এসেই তিনি যুদ্ধে যোগদান করেন। মানিক চৌধুরী বাংলাদেশে থেকে আলী আহমেদ মাস্টার নামধারণ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত অনুসারী এবং এম.. আজীজ এবং জহুর আহমদ চৌধুরীর সহকর্মী হওয়ার পরও মানিক চৌধুরী কোনোদিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রাণান্তকর ঘাটুনি খেটেছেন। কোনোদিন নির্বাচন করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেননি।

৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পাঁচদিনের মাথায় ২০ আগস্ট জাতীয় চার নেতার সঙ্গে মানিক চৌধুরীকেও গ্রেফতার করে। মানিক চৌধুরীর ছেলে কাজল চৌধুরী লিখেছেন, ‘৩০ আগস্ট তাজউদ্দিন সাহেবের স্ত্রী সৈয়দা জোহরা তা্‌জউদ্দিন জেলখানায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাজউদ্দিন সাহেব তাঁকে বলেছিলেন, আমার কোনো খবর তাকলে মানিক চৌধুরীর ছেলে কাজলের মাধ্যমে পাবে।

আমি ১ নভেম্বর বাবার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি আমার হাতে ৫৫৫ সিগারেটের একটি খালি প্যাকেট গুঁজে দিয়ে চুপি চুপি বলেছিলেন, খুবই গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ আছে সিগারেটের প্যাকেটে। এখানে খুলবে না। আমারও একটি চিঠি আছে। কেউ যেন কিছু টের না পায় এমনভাবে সবধানে চিঠিটা নিয়ে সবিতা বাবুকে (্‌এডভোকেট এস আর পাল) দেবে। কোর্টের ছুটিতে তিনি দিল্লি যাবেন। তাঁকে বলবে, তিনি যেন চিঠিটা নিয়ে ম্যাডাম গান্ধীর মুখ্য সচিক পিএন হাকসারকে দেন। ’ এখানে ইন্দিরা গান্ধীকে লেখা তাজউদ্দিনের একটা চিঠি ছিল। আর এই চিঠি যাতে ম্যাডাম ইন্দিরা গান্ধীর কাছে পৌঁছায় এজন্য মানিক চৌধুরী মিসেস গান্ধীর মুখ্য সচিক পিএন হাকসারকে আরেকটি চিঠি লিখেন। চিঠি দুটি তাঁদের কাছে পৌঁছানোর আগেই জাতি ৩ নভেম্বর সেই কলঙ্কজনক ঘটনার মুখোমুখি হয়। চিঠি দুটো পৌঁছে গেলে তবে হয়ত বাংলাদেশের ইতিহাস আজ অন্যরকম হলেও হতে পারত। আগরতলা মামলায় পাকিস্তানের পক্ষে মানিক চৌধুরীদের নির্যাতনকর্ম পরিচালনাকারী কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান পরবর্তীকালে জেনারেল জিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে জেলখানায় মানিক চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। হয়ত জিয়ার কোনো বার্তাও নিয়ে এসেছিলেন। মানিক চৌধুরী তার সঙ্গে কথা বলেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান দাদা কেমন আছেন বলে করমর্দন করতে চাইলেও মানিক চৌধুরী হাত গুটিয়ে নেন।

প্রায় পাঁচ বছর কাল কারা নির্যাতনের পর ১৯৮০ সালে জেনারেল জিয়া মানিক চৌধুরীকে মুক্তি দেয়। এর আগে মানিক চৌধুরীকে জিয়ার জাগদলে যোগদানের জন্য তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু মানিক চৌধুরী সম্মত হননি। মুক্তির মাত্র সাড়ে তিন মাস পর ৩০ জুন ভারতে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

মানিক চৌধুরী সার্বিকঅর্থে দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ ছিলেন। নানান সমালোচনা আর ষড়যন্ত্রের পরও বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে মানিক চৌধুরী ছিলেন আপসহীন। দেশের জন্য চরম ত্যাগের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। এসব মানুষের রাজনৈতিক জীবন থেকে আজকের নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের দেমপ্রেম আর দলীয় আনুগত্য বিষয়ে অনেক কিছু শেখার আছে। কিন্তু সে ইতিহাস আজ বিস্মৃত প্রায়। আজকের নতুন প্রজন্ম আগরতলা মামলার কথা কতটুকুই জানে? এ মামলার আসামী মানিক চৌধুরী, বিধান কৃষ্ণ সেন প্রমুখদের চেনেই না। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে পূর্ণরূপ দিতে হলে এদের জানতে হবে। এদের লড়াইসংগ্রাম থেকে নিজেদের পথ নির্মাণ করতে কবে। মানিক চৌধুরীদের ভুলে গেলে চলবে না।

লেখক : প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক, নাট্যজন

পূর্ববর্তী নিবন্ধনারী উদ্যোক্তারা হতে পারেন অর্থনীতির চালিকাশক্তি
পরবর্তী নিবন্ধআগামী প্রজন্মের জন্য প্রয়োজন উপনিবেশমুক্ত স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সংস্কার