ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা–ভাঙচুর, কমিশন অফিসের কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ষোলশহর রেলস্টেশনে জাতীয় নাগরিক কমিটি, চট্টগ্রাম মহানগর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের পরে ষোলশহরে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সব্যসাচী জহিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক কমিটির সদস্য জোবাইরুল হাসান আরিফ ও সাগুপ্তা বুশরা মিশমা। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ইমন সৈয়দ, ইরফান খান, সাইদুর রহমান ও আদনান তাহসিন আলমদার। এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেছে, বাংলাদেশের মানুষ সুখে আছে– এটা দিল্লির সহ্য হচ্ছে না। নতুন বাংলাদেশে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক নিশ্চিত হবে ন্যায্যতা ও স্বার্থের ভিত্তিতে। দিল্লির বাঁধের কারণে আমাদের নদীগুলো মরে গেছে, আবাদি জমি শুকিয়ে গেছে। যেসব অসম ও পরিবেশ বিরোধি চুক্তির কারণে দিল্লি আমাদের জনগণ ও পরিবেশের উপর এই আগ্রাসন চালিয়েছে, সে সব অসম ও পরিবেশ বিরোধি চুক্তি অচিরেই বাতিল ঘোষণা করতে হবে। ৫ আগস্টের পর থেকেই ভারতের মিডিয়াগুলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে আসছে। কিন্তু দিল্লির সরকার এই প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করার পরেও বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক সংযম ও সমপ্রীতির পরিচয় দিয়েছে। ভবিষ্যতেও দিল্লির পাতা ফাঁদে পা না দিয়ে সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দল–মত নির্বিশেষে সকল জনগণ একতাবদ্ধ থাকবে বলে আশা করি আমরা।