বাংলাদেশের আনাচে কানাচে আওয়ামী স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সব সেক্টরে দলীয়করণ করেছে। তাদের প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে। কিন্তু আমরা আর বাংলাদেশে কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না। আমরা বাংলাদেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি দেখতে চাই। আওয়ামী লীগের মত নতুন জালেম দেখতে চাই না। আমরা মানুষের মাঝে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
তিনি গতকাল সোমবার নগরের কাজীর দেউড়ি ভিআইপি ব্যাঙ্কুয়েট হলে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। সঞ্চালনা করেন নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু। সমাবেশের পর র্যালি করা হয়।
এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন পতিত শক্তি। তবে এ শক্তি এখনো তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি। তারা সংখ্যালঘুদের ওপর ভর করে অনেক চক্রান্ত করেছে। যা এখনো অব্যাহত আছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ ফ্যাসিস্ট শক্তি বাংলার মাটিতে আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। তারা নৃশংস অত্যাচার, নির্যাতন চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছে। কিন্তু যার পতন আল্লাহর দরবারে কবুল হয়, সে হাজার চেষ্টা করেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। শেখ হাসিনার পতনের পরে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার যে স্বাদ সেটা অনুভব করতে পেরেছে।
নাজিমুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে ৯ মাস যু্দ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আর এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে ১৭ বছর যুদ্ধ করে দ্বিতীয় বার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই কর্র্র্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে তারা সকলে এই প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। স্বৈরাচার হাসিনার সরকারের পতনের পরে আজকে মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারছে, আজকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা আর কোনো মানবাধিকার লুন্ঠিত হউক সেই কাজ দেখতে চাই না।
এইচ এম রাশেদ খান বলেন, ছাত্র–জনতার গণআন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হলেও আমরা এখনো পরিপূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। অর্জিত স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের এসব ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে এবং সকল প্রোপাগান্ডা মিথ্যা প্রমাণিত করতে হবে। চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্র্য্য ধারণ করে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, ছাত্র–জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নিয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন। এই গণহত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। বিজয়ের এই আনন্দ ধরে রাখতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আসাদুজ্জামান দিদার, শহিদুল্লাহ বাহার, সেলিম রেজা, মজিবুর রহমান, খাইরুল আলম দিপু, হারুন আল রশীদ, অ্যাড. সাইদুল ইসলাম, মামুনুর রহমান, হারুনুর রশিদ, এন আই চৌধুরী মাসুম, জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জসিম উদ্দিন রকি, জহিরুল হক টুটুল, এম. আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, দিদার হোসেন, তাজুল ইসলাম নয়ন, আকতার হোসেন, মোখলেছুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, ইমদাদুল হক স্বপন, এম এ হানিফ, রাসেল খান, মো. হাসান, নিজাম উদ্দিন বুলু, ইসহাক খান, সাইফুল আলম দিপু, ইকবাল হোসেন রুবেল, মো. সেলিম, শাহাজাহান বাদশা, আকবর হোসেন মানিক, লুৎফর রহমান জুয়েল, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জসিম উদ্দিন, ডা. মিনহাজুল আলম, জাহিদুল ইসলাম, রাশেদ পাটোয়ারী, জাকির হোসেন মিশু, ইমরান চৌধুরী জ্যাকসন, মো. পারভেজ, সাজ্জাদ খান, খাজা স্বপন, মো. দুলাল, রিদোয়ানুল হক, শফিউল আলম শফি, ইয়াসির আরাফাত, সাজিদ হাসান রনি, আলতাফ হোসেন, আনিসুজ্জামান টুটুল, রিয়াজ উদ্দিন রাজু, আকতার হোসেন, আনোয়ারুল কাফি মুন্না, ইউসুফ সুমন, শহীদুল ইসলাম শহীদ, মহিউদ্দিন রুবেল, আনোয়ারুল কাফি মুন্না, শহিদুজ্জামান শহীদ, মো. মহিউদ্দিন, এস্কান্দার মির্জা, আরমান শুভ, নোমান শিকদার সোহাগ, মো. মুরাদ ও মো. মিজান।