আইভি নাকি তৈমুর

নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ভোট আজ

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আজ। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট হবে। এবার পুরো নির্বাচনের ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে ব্যালটে লড়বেন আইভি। আর তৈমুর থাকছেন হাতি প্রতীক নিয়ে। ভোট শেষ হলেই বোঝা যাবে হাতির জোর বেশি, নাকি পালে হাওয়া নিয়ে জোর বেশি নৌকার।
নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কঠের ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর পুলিশ লাইন্স মাঠে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এদিকে ভোটের আগমুহূর্তেও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। গতকাল বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে তার দলের কর্মী সমর্থকসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর বাংলানিউজ ও বিডিনিউজের।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটের মাঠে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী উপকরণ। কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ইতোমধ্যে ভোটের প্রচারের সময় শেষ হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত কোনো ধরনের জনসভা, পথসভা, মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে।
ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এ সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে প্রায় ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার রয়েছেন। ভোট হবে ১৯২টি ভোটকেন্দ্রে। এর মধ্যে ৩০টি কেন্দ্রকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মাঠ প্রশাসন।
ভোটকেন্দ্র পাহারায় নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ, অঙ্গীভূত আসনার/ভিডিপির ১৫ জনের ফোর্স। তবে ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন ১৬ জনের ফোর্স। এছাড়া ভোটের এলাকায় ২৭টি মোবাইল টিম, নয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও চারটি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে। আবার ১৪ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ২৭টি টিম ভোটের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাচনের দুদিন পরও তারা ভোটের এলাকায় নিয়োজিত থাকবে। ২০১১ সালে সিটি কর্পোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর নাসিকে এবার হচ্ছে তৃতীয় নির্বাচন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চ এ বছরই
পরবর্তী নিবন্ধওমিক্রন পরবর্তী করোনা মহামারি পর্যায়ে থাকবে না