অর্থ ঋণের সব মামলা যাচ্ছে যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে

দুই হাজার পিসের নিচে ইয়াবা মামলার বিচার সিএমএমে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১১ নভেম্বর, ২০২০ at ৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এনআই অ্যাক্টে বা অর্থ ঋণের বিচারাধীন প্রায় বিশ হাজার মামলা স্থানান্তর হচ্ছে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে। একইভাবে দুই হাজার পিসের নিচে ইয়াবার মামলাগুলো দায়রা থেকে স্থানান্তর হচ্ছে সিএমএম বা মহানগর হাকিম আদালতে।
সম্প্রতি হাইকোর্টের এক নির্দেশনা পাওয়ার পর চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে অনিষ্পন্নকৃত বিচারাধীন মামলাগুলো এভাবে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এ বিষয়টি গতকাল আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজের অধীনে থাকা বর্তমানে মাত্র দশ হাজার টাকার একটি অর্থ ঋণের মামলার জন্য সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তিকে আপিলের জন্য হাইকোর্টে যেতে হচ্ছে। কিন্তু যুগ্ম মহানগর দায়রা জজের অধীনে মামলাগুলো চলে আসলে দশ হাজার টাকার অর্থ ঋণের মামলাগুলো মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করা যাবে। এসব মামলায় দায়রা জজ আদালত নিষ্পত্তি করতে পারবেন। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণের মামলায় আপিলের জন্য বিচারপ্রার্থীদের হাইকোর্টে যেতে হবে না। চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে বিচারাধীন অনিষ্পন্নকৃত মামলাগুলোর চাপ কমানোর পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীরা তাতে সুবিধা পাবেন বলে জানান তিনি।
আদালতের তথ্যে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজের ১৩টি আদালত রয়েছে। এরমধ্যে একটি মহানগর দায়রা জজ আদালত, ৫টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ও ৭টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজের আদালত রয়েছে।
এনআই অ্যাক্টের মামলাগুলো বিচারিক কার্যক্রম বর্তমানে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনআই অ্যাক্টে মোট ১৭ হাজার ১৯০টি বিচারাধীন মামলা অনিষ্পন্নকৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। অন্যদিকে মহানগর হাকিমের (মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) সাতটি আদালত রয়েছে। দায়রা আদালতে বিচারাধীন দুই হাজার পিসের নিচে ৩ হাজারের ওপরে ইয়াবার মামলা মহানগর হাকিম আদালতে স্থানান্তর হচ্ছে। জানা গেছে, চট্টগ্রামে সবগুলো আদালত মিলে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ২ লাখের ওপর ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু তুলনামূলকভাবে নিষ্পত্তির হার অনেক কম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইপিএলে মুম্বাইয়ের পঞ্চম শিরোপা
পরবর্তী নিবন্ধলক্ষাধিক ইয়াবাসহ আটক ৬