গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ বিভিন্ন আর্থ–সামাজিক সূচকে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯–২০২৩ মেয়াদে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মাথাপিছু আয় ২৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৬ সালে ছিল মাত্র ৫৪৩ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যের হার প্রায় ৪১.৫ শতাংশ থেকে প্রায় ১৮.৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫.৫ শতাংশে থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড–১৯ মহামারী, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপরও চাপ সৃষ্টি করেছে। সরকার এই চাপ কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে।
এদিকে এই অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (ফোরআইআর) সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি যেন মানবতাকে আঘাত করার জন্য ব্যবহৃত না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর সরকারি–বেসরকারি উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সরঞ্জামগুলোকে যেন আমাদের মানবতাকে আঘাত বা ক্ষুন্ন করে এমন কাজে নিয়োজিত করা না হয়। তার সরকার দেশের তরুণদের নিয়ে এই পদক্ষেপ শুরু করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের ছেলে–মেয়েরা শুধু ফোরআইআর–কে অনুসরণ করবে না, বরং প্রকৃতপক্ষে এর নেতৃত্ব দেবে।’