অযত্ন-অবহেলায় অরক্ষিত বাণীগ্রাম ও ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন বধ্যভূমি

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৬ মার্চ, ২০২১ at ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীতে পাক হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞে সৃষ্ট ‘বাণীগ্রাম মধ্য পাড়া বধ্যভূমি’ এবং ‘বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন বধ্যভূমি’ দীর্ঘদিন যাবৎ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ/সংরক্ষণ করা হলে পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে এবং শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই বাঁশখালীর দেশ প্রেমিক ছাত্র জনতা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এই সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাঁশখালীর বীর সন্তান শহীদ মৌলভী ছৈয়দ আহমদ, মরহুম মোক্তার আহমদ (প্রাক্তন এমপি), মরহুম অ্যাডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরী (প্রাক্তন এমপি), ডা. আবু ইউসুফ চৌধুরী, মরহুম খোন্দকার মোহাম্মদ ছমিউদ্দীন, মরহুম শফিকুল ইসলাম, মরহুম নূরুল কবির চৌধুরী ও মরহুম মীর ওয়াজেদ আলী খান, প্রয়াত সুভাষ চন্দ্র আচার্যসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মিশু ভট্টাচার্য্য বলেন, বধ্যভূমি সংরক্ষণ/স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হলে পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার কবির আহমদ বলেন, বিগত দিনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার প্রয়াত সুভাষ চন্দ্র আচার্য্য থাকাকালীন সময়ে বধ্যভূমি সংস্কারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও বর্তমানে তা ঝিমিয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেন আক্তার বলেন, বাঁশখালীতে মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অবহিত করা হয়েছে। আশা রাখি অচিরেই তার যথাযথ সংস্কার হবে বলে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিনেমা প্যালেস থেকে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক দুই
পরবর্তী নিবন্ধএসবি কর্পোরেশনের সেলাই মেশিন বিতরণ