যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকের আগে অভ্যন্তরীণ হুমকির কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দেশটির অস্থায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার।
পেন্টাগনের (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়) এই অস্থায়ী প্রধান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের অভিষেক ঘিরে সম্ভাব্য নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলের সুরক্ষায় সহায়তা করতে ২৫ হাজারেরও বেশি ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং তাদের প্রত্যেকের ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে আর এই কাজে এফবিআই সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করছে। যদিও আমাদের কাছে অভ্যন্তরীণ হুমকির কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই তারপরও বড় ধরনের নিরাপত্তা ইভেন্টের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা স্বাভাবিক, রাজধানীকে সুরক্ষিত করতে ‘কোনো পাথরই উল্টে দেখতে’ বাকি রাখছি না আমরা।’
সোমবার ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চরম ডানপন্থি উগ্রবাদীরা ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য সেজে উপস্থিত থাকার বিষয়ে আলোচনা করেছে, এমন গোয়েন্দা প্রতিবেদন দিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সতর্ক করেছে এফবিআই। গোয়েন্দা প্রতিবেদনটিতে অভিষেক অনুষ্ঠানে হামলার নির্দিষ্ট কোনো ছক শনাক্ত করা হয়নি বলে পোস্ট জানিয়েছে।
শপথ অনুষ্ঠাকে ঘিরে থাকা এলাকার সুরক্ষায় সহায়তা করতে ডাকা প্রত্যেক ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ব্যাকগ্রাউন্ড কর্তৃপক্ষ কেন যাচাই করে দেখছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের অস্থায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার গেইনার সোমবার বলেছেন, ‘এটি বিচক্ষণ পদক্ষেপ হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফবিআই ও অন্যান্যরা।’ তিনি ফক্স নিউজকে বলেছেন, ভিতর থেকে কোনো হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ দেখেননি তিনি, কিন্তু শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য হুমকি থাকায় কর্তৃপক্ষ কোনো কিছুই নজরদারির বাইরে রাখতে চাইছে না।