অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়ে কাপ্তাই উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন যথাক্রমে ২নং রাইখালী, ৪নং কাপ্তাই এবং ৫নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট দেয়ার জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রে লম্বা লাইন দেখা গেছে। তবে কেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে মহিলাদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
উপজেলার ২নং রাইখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী থোয়াই সা প্রু চৌধুরী রুবেল একজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাল ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। তিনি কয়েকটি ভোট কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করার জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন জানান।
তবে এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মংক্য মারমা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেন।
এদিকে, ৫নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যন প্রার্থী আপাই মারমা বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করলেও এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী চিরঞ্জিত তঞ্চঙ্গ্যা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেন।
৪নং কাপ্তাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল লতিফ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেন। তবে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন পাটোয়ারী বাদল নির্বাচনী সহিংসতায় মেম্বার প্রার্থী সজিবুর রহমান হত্যা মামলার আসামি হয়ে পলাতক রয়েছেন। নির্বাচনী মাঠে তার কর্মী-সমর্থকদেরও খুব বেশি দেখা যায়নি।
অপরদিকে, নির্বাচনী কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করার জন্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন মিয়া উপজেলার রাইখালী, ওয়াগ্গা এবং কাপ্তাই ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিমত জানান।
এসময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা, কাপ্তাই থানার ওসি মো. নাসির উদ্দীন এবং চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী।
সকলের সহযোগিতায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার।