অভিযোগ এলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা: মেয়র

চসিক অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির মতবিনিময় সভা ।। আটটি রাজস্ব সার্কেলে সংকট নেই, তবে পেশাগত দক্ষতার সংকট আছে

| বুধবার , ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের নিজস্ব আয়ের উৎস হচ্ছে রাজস্ব খাত। চসিকের ব্যয়ের বিস্তার ও পরিধি বাড়লেও আনুপাতিকহারে রাজস্ব আয়ের পরিধি বাড়েনি। কারণ এর উপর নির্ভর করে থাকা যায়না। তাই এই খাতে গতিশীলতা ও পরিধি বৃদ্ধি প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বচ্ছতা ও পেশাগত দায়বদ্ধতার ফলে চসিকের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
গতকাল মঙ্গলবার আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কে.বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে রাজস্ব বিভাগে অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চসিকের আটটি রাজস্ব সার্কেলে তেমন জনবল সংকট নেই। তবে পেশাগত দক্ষতার সংকট আছে। তাই ক্ষেত্রবিশেষে রাজস্ব আদায় অত্যন্ত নিম্ন। কিছু অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাব আগেও ছিল এখনোও তা কমেনি। এক্ষেত্রে নতুন করে যাতে কোন অভিযোগ না আসে সেজন্য সচেষ্ট হতে হবে। অভিযোগ এলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
তিনি বলেন, অতীতে কোন কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব আদায়কারী রাজস্ব দাতাকে উৎকোচ গ্রহণ করে অবৈধ ছাড় দেয়ার অভিযোগ ছিল এবং তা প্রমাণিতও হয়েছে। কিন্তু যারা অবৈধভাবে চসিকের রাজস্ব আদায়ের পরিধি সংকুচিত করেছে তারা প্রাপ্য শাস্তি পায়নি। এবার আমি তা হতে দেবো না। তিনি উল্লেখ করেন, একটি তিনতলা বাড়ি যে হারে রাজস্ব দিতো বাড়িটি ৫তলা হলেও আগের হারে রাজস্ব দিচ্ছে। এই বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব আদায়কারীর চোখে না পড়লে দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করা অবান্তর হতে পারে না। এ্যাসেসারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এ্যাসেসমেন্ট করতে গিয়ে আইন বর্হিভুতভাবে অযৌক্তিক কর নির্ধারণ করার ফলে যে সমস্ত করদাতারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাদের তালিকা তৈরী এবং সমাজের অসহায়, বিধবা ও অতি দরিদ্রদের কর দিতে চাপ না দেয়া এবং প্রতিমাসে রাজস্ব আদায়ের মাসিক প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সার্কেল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
মেয়র চসিকের আয়ের বিকল্প ব্যবস্থার উপর জোর দিয়ে বলেন, নগরীতে চসিকের যে সকল জায়গা খালি পড়ে আছে তা চিহ্নিত করে আয়বর্দ্ধক প্রকল্প গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. শহিদুল আলম, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, এম. আশরাফুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরী। সভায় সার্কেল ওয়ারী রির্পোট পেশ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচুয়েটে বিভিন্ন উন্নয়নকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
পরবর্তী নিবন্ধউচ্ছ্বসিত সুনেরাহ