আট দশকের অভিনয় জীবনের ইতি টেনে চিরবিদায় নিলেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলা ল্যান্সবুরি। মঙ্গলবার তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার ৯৬ বছর বয়সে লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়। ল্যান্সবুরি তার অভিনয় জীবনে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং মঞ্চ এই তিন মাধ্যমেই কাজ করেছেন। খলচরিত্র থেকে শুরু করে গুপ্তচরের ভূমিকা এবং কখনও কমিক চরিত্রেও দেখা গেছে তাকে। খবর বিডিনিউজের।
জনপ্রিয় ‘মার্ডার, শি রোট’ নামের টেলিভিশন সিরিজে অ্যাঞ্জেলা ল্যান্সবুরি অভিনয় করছিলেন একজন রহস্য লেখকের ভূমিকার। তার চরিত্রের নাম ছিল জেসিকা ক্লেচার। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এক যুগ ধরে চলা সিরিজটি এই অভিনেত্রীকে ১১ বার এমি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন এনে দেয়।
১৯২৫ সালের ১৬ অক্টোবর লন্ডনে এই অভিনেত্রীর জন্ম। জন্মদিনের মাত্র পাঁচদিন আগে চলে গেলেন তিনি।
অ্যাঞ্জেলা ল্যান্সবুরির মাও ছিলেন একজন অভিনেত্রী। ১৯৪০ সালে মায়ের সাথে লন্ডন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। ১৯৪৪ সালে ‘গ্যাসলাইট’ সিনেমা দিয়ে কিশোর বয়সেই ল্যান্সবুরির অভিনয় জীবনের শুরু। পরের বছর ‘দ্য পিকচার অব ডেরিয়ান গ্রে’ সিনেমায় তাকে দেখা যায়। এরপর ১৯৬২ সালে ‘দ্য মাঞ্চুরিয়ান ক্যান্ডিডেট’ এ তিনি মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এই তিন সিনেমায় অভিনয়ের জন্য মেলে অস্কারের মনোনয়নও।
প্রথম অভিনয়ের সাত দশক পর ২০১৩ সালে ৮৮ বছর বয়সে এই অভিনেত্রীকে কাজের স্বীকৃতিতে দেওয়া হয় সম্মানসূচক অস্কার। ওই অনুষ্ঠানে অস্কারজয়ী অস্ট্রেলীয় অভিনেতা জেফ্রি রাশ এবং এমা টমসন শ্রদ্ধা জানান অ্যাঞ্জেলা ল্যান্সবুরির প্রতি।
তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল ভেলভেট (১৯৪৪), দ্যা ডার্ক অ্যাট দ্য টপ অব দ্য স্টেয়ার্স (১৯৬০), বেডনবস অ্যান্ড ব্রুমস্টিকস, (১৯৭১) এবং দ্য মিরর ক্র্যাকড (১৯৮০) অন্যতম। এছাড়া ব্রডওয়েতে জিসপি, সুইনি টড, ডিয়ার ওয়ার্ল্ড এবং ব্লিথ স্পিরিটে অভিনয়ের জন্য তিনি জিতেছেন পাঁচটি টনি পুরস্কার।