অভিজ্ঞতা না থাকায় ইভিএমে অস্বস্তিতে ভোটাররা

পৌর নির্বাচন

| রবিবার , ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশের ৬১টি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২৯টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হয়। এর মধ্যে রয়েছে ফেনীর দাগনভূঞাঁ পৌরসভাও। চার স্তরের নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শনিবার সকাল থেকে এ পৌরসভায় ভোটকেন্দ্র গুলোতে ভোট গ্রহণ চলে। তবে বিপত্তি দেখা দিয়েছে ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়ে। খবর বাংলানিউজের।
অভিজ্ঞতা না থাকায় ভোট দিতে এসে হিমশিম খান ভোটাররা। আগে থেকেই এ পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে এ সমস্যা হতো না বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। এ পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ১৩টি ভোটকেন্দ্রের ৭৩টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ হয়েছে ইভিএমে। সরেজমিনে পৌর এলাকার আলাইয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোটাররা ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন। নারী ভোটার আমেনা বেগম বলেন, আগে থেকে প্রশিক্ষণ না থাকায় তার ভোট দিতে সমস্যা হয়েছে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সহায়তায় ভোট দিয়েছেন তিনি।
একই কথা জানালেন উত্তর করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা কবির আহম্মদসহ আরও বেশ কয়েকজন ভোটার। আতাতুর্ক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় করিমুল ইসলাম নামে এক ভোটারের সঙ্গে। তিনি বলেন, খুব কষ্ট হয়েছে ভোট দিতে। মেশিনে কীভাবে ভোট দেবো বুঝতে পারছিলাম না। পরে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সহায়তায় ভোট দিয়েছি। গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমাদের নিজেদেরও কষ্ট হচ্ছে ইভিএম বুঝতে, ভোটারদের তো কষ্ট হবেই। এ কেন্দ্রের ভোটার নুর জাহান জানান, কিছুতেই তিনি ভোট দিতে পারছিলেন না। পরে প্রিজাইডিং অফিসারের সহায়তায় ভোট দিয়েছেন তিনি। দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়া খুব সহজ। এ ব্যাপারে আমরা প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কিছু সাধারণ মানুষকেও আগে থেকে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কোনো কারণে ইভিএম মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বিকল্প ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২০ জানুয়ারির মধ্যেই শেষ করতে হবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা