সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগর থেকে অবৈধ বসবাসকারীদের ৩১ আগস্টের মধ্যে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে স্থাপনা অপসারণ করে জায়গা খালি করা না হলে সেপ্টেম্বরের শুরুতে আরো বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জঙ্গল সলিমপুর জালালাবাদ মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানে বিএস ৭২৯ দাগে ৯ দশমিক ৭০ একর, শ্রেণি-পাহাড় এবং বিএস ৭৭১ দাগে ২ দশমিক ৯৪ একর, শ্রেণি-পাহাড়ি ভূমি সরেজমিন পরিমাপ ও চিহ্নিত করে লাল পতাকা বসানো হয়েছে। উক্ত খাস খতিয়ানের ভূমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের ৩১ আগস্টের মধ্যে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, জঙ্গল সলিমপুর আগামী আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে একটি উপশহরে রূপ নিবে। সেজন্য এ এলাকায় থাকা অবৈধ দখলদারদের সরাতে হবে। ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ পরিবার নিজ উদ্যোগে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। আরো অনেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে বড় ধরনের উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকারের নেয়া মহাপরিকল্পনা ঘিরে আমরা এগুচ্ছি। এ এলাকার অন্যতম অপরাধী ইয়াছিনসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে অনেকগুলো। পরিবেশের ক্ষতি, রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, পাহাড় কাটা, নতুন করে বসতি স্থাপনা- এ সব কারণে জড়িতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। পাহাড় কাটায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। জমি বেচাকেনার সাথে জড়িত সমবায় সমিতিগুলোর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। স্বেচ্ছায় জঙ্গল সলিমপুর ছাড়তে ৩১ আগস্ট সময় বেধে দেয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে বড় অভিযান পরিচালনা করা হবে।