জলে যখন ভেসে যাচ্ছে দেশ
জল ধরে রাখতে পারেনি বলে মায়ের প্রদেশ
নেমে এলাম আমি
অবিকশিত রক্তপিণ্ড হয়ে।
আত্মার স্পন্দন, অস্তিত্বের ঘোষণা নিয়ে
অস্ফুট রক্তগোলাপের কুঁড়ি
মায়ের হাহাকার আর আর্তনাদের স্রোতে
লোহিত নদীর ধারায়, অকালে
অপ্রস্তুত বসুন্ধরায়।
সাদা এপ্রোনের এক নারী
তুলোর আরামে জড়িয়ে ছোট্ট বাক্সবন্দি করে
আমাকে তুলে দিল
গৌরবর্ণ এক যুবকের কম্পিত আঁজলায়
তার বর্ষাবিদ্ধ বুক আমাকে আগলে রাখতে না পেরে
আর কোনদিন অংকুরিত হবে না, জেনেও
স্তব্ধ মৃত্তিকার গভীরে পুঁতে দিল, কম্পিত হাতে।
জানি না, কোন অলৌকিকের আশায়
কাচা মাটির ওপর
অবিরল
জল ঢেলে দিল অবোধ কান্না থেকে সে।
সে নাকি আমার জনক
জলধারা মাটি ফুঁড়ে
আমার অবিকশিত গা ধুয়ে দিলো
মায়ের জলগর্ভের উষ্ণতায় আমি
আরও কিছুদিন থাকার অভিলাষী ছিলাম
অবেলায়
মা ও মাটিতে একাকার হয়ে গেলাম।