অবশেষে ২৩ শহীদের কবর এক জায়গায়

মীরসরাই

মীরসরাই প্রতিনিধি | শনিবার , ২৫ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতার ৫২ বছর পর অবশেষে মীরসরাই উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের সৈদালী গ্রামে মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার শিকার ২৩ শহীদকে একস্থানে সমাহিত করার পর শহীদদের স্মরণে গণকবর সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ সকাল ১১টায় এই গণকবর সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

উপজেলার ১৩ নম্বর মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমদ নিজামীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, মীরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

(ওসি) কবির হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহা, মীরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কেএম সাঈদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী প্রমুখ।

এর আগে, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর মীরসরাই উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর চিহ্নিত করে একস্থানে সমাহিত করা হয়। গণহত্যায় নিহতরা হলেন সৈদালী গ্রামের মোখলেছুর রহমান, আবুল কালাম (হোরা মিয়া), আমির হোসেন, খোরশেদ

আলম, মকছুদ আহম্মদ, নজীর আহমদ, সুলতান আহমদ, কবির উদ্দিন, শেখ আহমদ, আবদুল মালেক, তমিজ উদ্দিন, হাকিম বক্স, বেদন আলী, সামছুল আলম ভূঁইয়া, নুরুল আলম ভূঁইয়া, ফকির আহমদ, রহিম বক্স, আব্দুর রশিদ, মফিজুর রহমান, হোসনের জামান, জোবেদা খাতুন, জায়েদ আলী ও বীর

মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বজলুর রহমান। এর আগে কবরস্থানে যাওয়ার পথ তৈরি করতে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে দুই শতক জমিও কেনা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে সৈদালী নাগরিক ফোরাম নামে একটি সংগঠন প্রতি বছর ২০ এপ্রিল দিনটিকে সৈদালী গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। মূলত সংগঠনটির নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতেই সবগুলো কবর এক সঙ্গে সমাহিত করার উদ্যোগ নেয় সরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআচরণে অতিষ্ঠ হয়ে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে স্বামীকে হত্যা
পরবর্তী নিবন্ধযুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি বিএনপি জোটের