অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে শীতল পরশ

আজাদী প্রতিবেদন

| শুক্রবার , ৩ মে, ২০২৪ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

একমাসের বেশি সময়ের টানা তাপদাহের পর অবশেষে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ঝরেছে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত কয়েক দফায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রামে তীব্র দাবদাহ চলেছে। বৃষ্টির জন্য মানুষসহ প্রাণীকুলে হাহাকার চলছিল। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করেছে মানুষ এবং প্রাণীকুল। কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছিল না। বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়সহ নানাভাবে প্রার্থনা করা হয়েছে। একটু স্বস্তির জন্য মানুষের আকুতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাত তিনটা নাগাদ স্বস্তির বৃষ্টি নামে। পরিমাণে কম হলেও এই বৃষ্টি শীতল পরশ বুলিয়ে যায়। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে চট্টগ্রামে দুই দফা বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ভোররাত ৩টার দিকে প্রথম দফায় বৃষ্টিপাত হয়। তখন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১ মিলিমিটার।’

আবহাওয়া অফিস জানায়, ওই বৃষ্টি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এরপর ভোর থেকে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টিপাত হয়। সকাল ১০টা পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৬ মিলিমিটার।

আবহাওয়া বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এটা মৌসুমী বৃষ্টি নয়, কাল বৈশাখীর বৃষ্টি। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হতে আরো মাসখানেক লাগবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবার ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও আবহাওয়া বিভাগ জানায়।

গতকাল বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া তীব্র দাবদাহে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। রাস্তাঘাট এবং বাসা বাড়ির ছাদে প্রথম বৃষ্টিতে অনেককেই ভিজতে দেখা গেছে। অনেকেই বৃষ্টির ভিডিও এবং ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও স্বস্তি এনেছে বৃষ্টি। গতকাল সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুরের কৃষক এমরান আহমেদ জানান, তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হওয়ায় যেনো জীবন বেঁচে গেছে। তিনি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের জন্য কিছুটা ভালো হলেও বহু ফসলই নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বিশেষ করে সবজি চাষের জমি পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছিল। বৃষ্টি নামায় শুধু জনজীবনে নয়, ফসলের মাঠেও স্বস্তি এসেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা আবদুল বারেক দৈনিক আজাদীকে জানান, এসময়ে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এসময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ০৮১৫ কিলোমিটার বেগে যা দমকা হাওয়ার আকারে ২৫ কিলোমিটার বা অধিক বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। তিনি বলেন, এ সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রামের নদী বন্দরের জন্য ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদাবদাহ থাকবে মে মাসেও, সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস
পরবর্তী নিবন্ধটুনা মাছ শিকারে পাঁচ বছরেও বিনিয়োগ করেনি ১৯ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান