চকরিয়ার এক কিশোরীকে অপহরণের পর হোটেল কক্ষে তিনদিন আটকে রেখে দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা রুজু করেছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেছে। মামলার আসামি দুই বন্ধু হল, চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়া গ্রামের মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে শেফায়েত হোসেন (২২) ও একই ইউনিয়নের ফকিরাবাজারের নুরুল আবচারের ছেলে মহিউদ্দিন প্রকাশ ইমন (২২)। তন্মধ্যে ধর্ষক শেফায়েত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছে মহিউদ্দিন। দুইজনই পেশায় ইজিবাইক চালক।
জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভাবীর সাথে তার বাবার বাড়ি চকরিয়া পৌরসভার ভাঙারমুখে বেড়াতে যায় ১৩ বছরের ওই কিশোরী। সেখানে তিনদিন অবস্থান করার পর ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে কাকারায় বাড়ি ফেরার সময় ভাঙারমুখ স্টেশন থেকে দুই বন্ধু মিলে কিশোরীকে প্রথমে টমটমে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এর পর বিকেলে কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয় কঙবাজার শহরের ‘জিয়া গেস্ট ইন’ আবাসিক হোটেলে। সেখানে তিনদিন ধরে আটকে রেখে দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে। এর পর কিশোরীকে চকরিয়ার জিদ্দাবাজার স্টেশনে এনে ফেলে যাওয়ার সময় কিশোরী চিৎকার দিলে স্থানীয় জনতা ধর্ষক শেফায়েতকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এক ধর্ষককে স্থানীয় জনতার সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর ধর্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
