টেকনাফে শুক্রবার রাতে অপহৃত ৬ রোহিঙ্গা তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা চাকমারকুল পাহাড়ি এলাকায় তাদের ছেড়ে দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন ২১ ও ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় চাকমারকুলের স্থানীয় বাসিন্দা মো. বিল্লাল নামে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে কাজের সন্ধানে বের হলে একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী ৬ রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে যায়।
এরপর পরিবারের কাছে জনপ্রতি ৫০ হাজার করে মোট ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসা রোহিঙ্গারা হলেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল ২১ নম্বর আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা জাহিদ হোসেন (৩৩), মো. ইদ্রিস (২০), মো. ফরোয়াজ (৩৯), মো. জোহার (৩১), মোহাম্মদ নূর (৩৪) ও নুরুল হক (৩১)।
এ বিষয়ে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা ৬ রোহিঙ্গাকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা কয়েকটি জায়গায় তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাই। শনিবার সন্ধ্যায় তাদের ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। ফেরত আসা অপহৃতদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, ছয় জনের কাছ থেকে তিন লাখ মুক্তিপণ আদায় করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে এ ঘটনায় স্থানীয় এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত বাকিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় ক্ষেত পাহারারত ৪ কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তারা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরেন। গত ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আট ব্যক্তি। তারা ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন।
