অনলাইনে আবেদন শুরু

একাদশে ভর্তি ।। পছন্দক্রমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কলেজ রাখার পরামর্শ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

গতকাল (৮ ডিসেম্বর) থেকে একাদশে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের এ আবেদন করা যাবে। আর প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিতদের ফল প্রকাশ করা হবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টায়। ২য় ও ৩য় পর্যায়ের ফল প্রকাশের পর ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে চলবে ভর্তি কার্যক্রম। ভর্তি কার্যক্রম শেষে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কলেজগুলোতে ক্লাশ শুরু হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকের স্বাক্ষরে এ নীতিমালা জারি করা হয়। মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক।

নীতিমালার তথ্য অনুযায়ী, ৮ ডিসেম্বর থেকে একাদশে ভর্তিতে অনলাইন আবেদন শুরু হয়ে চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদেরও একই সময়ে (৮ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর) আবেদন করতে হবে। গতবারের মতো এবারও কেবল অনলাইনেই (ওয়েবসাইটের মাধ্যমে) আবেদন করা যাবে। একাদশে ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট (www.xiclassadmission.gov.bd)-এ আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজের পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করা যাবে। আবেদন ফি বাবদ ১৫০ টাকা দিতে হবে প্রতি শিক্ষার্থীকে। টেলিটক এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে।

কেবল পুনঃনিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীরা ২৬ ডিসেম্বর নতুন করে আবেদনের সুযোগ পাবে। আর ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনে পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। যাচাই-বাছাই শেষে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টায় প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১ থেকে ৮ জানুয়ারি নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। এই সময়ে ভর্তি নিশ্চায়ন না করলে মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ওই (মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হওয়া) শিক্ষার্থীকে পুনরায় ফি দিয়ে ২য় পর্যায়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে।

প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিতদের ভর্তি নিশ্চায়ন শেষে ৯ থেকে ১০ জানুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত ২য় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ২য় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ শেষে ১২ জানুয়ারি রাত ৮টায় প্রথম পর্যায়ের মাইগ্রেশনের ফল ও ২য় পর্যায়ে মনোনিতদের ফল প্রকাশ করা হবে।

২য় পর্যায়ে মনোনিতদের ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারি রাত ৮টার মধ্যে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। এই সময়ে ভর্তি নিশ্চায়ন না করলে মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ওই (মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হওয়া) শিক্ষার্থীকে পুনরায় ফি দিয়ে ৩য় পর্যায়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে। ১৬ জানুয়ারি একদিন ৩য় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে।

আবেদন গ্রহণ শেষে ১৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় ২য় পর্যায়ের মাইগ্রেশনের ফল ও ৩য় পর্যায়ে মনোনিতদের ফল প্রকাশ করা হবে। ৩য় পর্যায়ে মনোনিতদের ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। এই সময়ে ভর্তি নিশ্চায়ন না করলে মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। চূড়ান্তভাবে মনোনিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে একাদশে ক্লাস শুরু হবে।

একাদশে ভর্তিতে আবেদনের সময়-সিডিউল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, নির্দেশিকা ও ফি প্রদানের পদ্ধতি ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট (www.xiclassadmission.gov.bd) এর বাম পাশে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক।

আবেদনের ক্ষেত্রে যা বিবেচনায় নিতে হবে : আবেদনের ক্ষেত্রে কলেজের পড়ালেখার মান-পরিবেশ, বাসা থেকে দূরত্ব এবং মাসিক বেতনসহ যাবতীয় খরচের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে কলেজের পছন্দক্রম ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক। দোকানের কম্পিউটার অপাটেরদের ইচ্ছে অনুযায়ী কলেজের পছন্দক্রম না দিতেও শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও কোটার স্বপক্ষে যথাযথ কাগজপত্র থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হলেই কেবল কোটায় আবেদন করার পরামর্শ দিয়ে কলেজ পরিদর্শক বলেন- দেখা গেল, কেউ একজন কোটায় আবেদন করেছে। কোটায় ভর্তির জন্য ওই শিক্ষার্থী মনোনিত হলেও যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তি করাবে না। আবার কোটায় আবেদন করায় মেধা তালিকায়ও তার নাম আসবে না। এতে করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর ভর্তি ঘিরে সংশয় দেখা দিবে। তাই আবেদনের ক্ষেত্রে যাবতীয় বিষয় যাচাই-বাছাই করে তবেই আবেদন করতে হবে।

পছন্দক্রমে সর্বোচ্চ দশ কলেজ রেখেই আবেদনের পরামর্শ : একাদশে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজের পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করা যাবে। সুযোগ থাকায় সর্বোচ্চ দশটি কলেজ পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক। অনেক শিক্ষার্থী অতি আত্মবিশ্বাসের জোরে মাত্র কয়েকটি বা ৫টি কলেজ পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করে। কিন্তু দেখা গেল, তার প্রাপ্ত নম্বরে ওই ৫টি কলেজের কোনটিতেই সে ভর্তির সুযোগ পেল না। এছাড়া পছন্দক্রমে আর কলেজ না থাকায় পরবর্তী তালিকাতেও তার আসার সুযোগ থাকে না। এতে করে জিপিএ-৫ পেয়েও কিছু শিক্ষার্থীর ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তবে সুযোগ থাকায় সর্বোচ্চ দশটি কলেজ পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করলে ভর্তি ঘিরে এ ধরনের অনিশ্চয়তা কমে যায়। তাই সব শিক্ষার্থীরই সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করার জোরালো পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক।

সতর্ক হতে হবে মোবাইল নম্বর প্রদানে : আবেদনের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কন্টাক্ট নম্বর হিসেবে একটি মোবাইল নম্বর দিতে হবে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক বলছেন, আবেদনের সময় প্রদত্ত এই মোবাইল নম্বরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আবেদন পরবর্তী ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এই মোবাইল নম্বরেই পাঠানো হবে। কন্টাক্ট নম্বর হিসেবে প্রদত্ত এই মোবাইল নম্বর অবশ্যই রেজিস্ট্রেশনকৃত (বায়োমেট্রিক) হতে হবে। যাতে কোনো কারণে মোবাইল হারিয়ে গেলেও সিমটি পুনরায় উত্তোলন করা যায়। আর কন্টাক্ট নম্বর হিসেবে একই মোবাইল নম্বর কোনোভাবেই একাধিক আবেদনে ব্যবহার করা যাবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেগম রোকেয়া দিবস আজ
পরবর্তী নিবন্ধটেস্ট না করেই ভুয়া রিপোর্ট, ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ