অনন্য রেকর্ড গড়লেন শান্ত

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ at ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ক্যারিয়ারের একটি স্মরণীয় ম্যাচ খেলে ফেললেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও সময়টা তার খুব একটা ভাল যাচ্ছিল না। বিশ্বকাপে তেমন কিছু করতে পারেননি। বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরে জাতীয় ক্রিকেট লিগের এক রাউন্ড খেললেও সেখানে সুবিধা করতে পারেননি। তার উপর এই সিরিজে শান্তর উপর বর্তেছে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব। তাই কেমন করে তা নিয়ে একটা শংকা ছিল। তবে সে সব শংকাকে উড়িয়ে দিয়েছেন শান্ত। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এক অনন্য রেকর্ড করলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। যেখানে সব বাংলাদেশি টেস্ট অধিনায়ককে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। এর আগে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারেননি আর কেউ। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষ ওভারে সেঞ্চুরি করেন শান্ত। এতেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন শান্ত।

এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। লাল বলের খেলায় দারুণ ফর্মে রয়েছেন শান্ত। শেষ চার ইনিংসের তিনটিতেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে সবগুলো ম্যাচেই ঘরের মাঠে। চলতি বছরের জুনে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের দুই ইনিংসে দুটি সেঞ্চুুরি করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ইনিংসটি ছিল ১৪৬ রানের। আর পরেরটি ছিল ১২৪ রানের। গতকাল সিলেটে কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিটি তুলে নিলেন শান্ত।

ওয়ানডেতেও অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচে রেকর্ড করেছিলেন শান্ত। সেটিও এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সাদা বলের খেলায় বাংলাদেশিদের মধ্যে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো ৫০ ওভারের ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শান্ত। ওই ম্যাচে ৭৬ রান করেছিলেন তিনি। আর এর ফলে ভেঙে দিয়েছিলেন আরেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের রেকর্ড। ১৯৯৮ সালে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ওয়ানডেতে ৭০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আমিনুল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেন কাজি সালাউদ্দিন
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৭.৯৭ কোটি টাকা