কিছু আদর, কিছু আলোড়ন,
এলোমেলো সফেদ চাদরে অসংলগ্ন প্রেমময় নকশিকাঁথা –
কিছু ইচ্ছের তৃষ্ণা, কিছু মায়া, কিছু কামনা,
কিছু প্রতিশ্রুতি বিনিময়, কিছু লুকোনো অশ্রুমালা,
যেন অপলক দুজোড়া চোখের আয়নায় ভালোবাসা গাঁথা!
এমন হয়নি আগে কখনোই!
এমন ঘটনা ঘটেনি কখনো আগে।
বিছানায় অসংখ্য সেফটিপিনের সাবধানি চলাফেরায়
অসাবধানে পড়ে থাকে কিছু ভাঙা লাল রেশমি চুড়ি,
শুভ্র হাতের রক্তিম চুড়ির ভাঙা কাচ মুচকি হেসে কথা কয়
আনাড়ি হাতে কুড়োনো একজোড়া মুষ্টিবদ্ধ হাতের তালুতে!
শৈল্পিক ছোঁয়ার শিল্পিত ছন্দে হিল্লোল তোলা অনুভবে
অবসন্ন দুটি দেহের ঢেউ জাগানিয়া স্পন্দনের স্রোতে
কপালের চুমু নেমে আসে মুদে আসা চোখের পাঁপড়ি বেয়ে,
দু’গালের ঘ্রাণ শুঁকে আলতো চুমু গাঢ় হয় ধীরে খুব ধীরে
কাঙ্খিত ঠোঁটের স্মিত পরশে,
চুলের অরণ্যে আঙুলের যতনে।
মিশে আছো, মিশে গেছো জীবনের অমোচনীয় সব রঙে,
সেইদিন চিরদিন হয়ে মনের শীতল পাটিতে,
ডায়েরীর ভাঁজে শুকনো লাল গোলাপের পাঁপড়িতে
সময় যেখানে কেবলি কিছু একটা সংখ্যা মাত্র।
তবু কিছু ভুলে যেতেই পারে কিছু মানুষ জীবনের ব্যস্ততায়,
আসলেই কি ভোলা যায় এমন অনন্য কিছু
মায়া ভুলে কঠোরতম কিছু প্রতিজ্ঞায়?