অতিরিক্ত বা কম ঘুম হৃদরোগসহ যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায়

| বুধবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

কম ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। চিকিৎসকদের মতে, শরীর সুস্থ থাকতে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমালে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। কম ঘুম যেমন স্বাস্থ্যকর নয়, তেমনই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমও শরীরের জন্য ভাল নয়। ‘ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল’-এ শীর্ষক গবেষণা পত্রে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, অতিরিক্ত ঘুম স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
গবেষণা বলছে, যারা প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমচ্ছেন দেখা গিয়েছে, মধ্য বয়সের পর থেকেই তাদের হৃদযন্ত্রে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেক দিন ধরে ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। যারা ৬ ঘণ্টার কম ঘুমন, তাদের হৃদরোগের আশঙ্কা ৫ শতাংশ বেড়ে যায়। কিন্তু যারা ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমন তাদের ক্ষেত্রে আবার হৃদরোগের আশঙ্কা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বেশি ঘুমলে হৃদরোগের আশঙ্কাবৃদ্ধি ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক সমস্যারও সৃষ্টি হয়।
টাইপ ২ ডায়াবিটিস : প্রয়োজনের বেশি ঘুমলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে। গবেষণা বলছে, যারা পর্যাপ্ত ঘুমন তাদের তুলনায় বেশি সময় ধরে ঘুমিয়ে থাকা মানুষের মধ্যে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা বেশি দেখা যায়।
স্থূলতা : দিনে যারা ৯-১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘুমন, তাদের মধ্যে স্থূলতার আশঙ্কা প্রায় ২১ শতাংশ বেশি। তুলনায় দৈনিক গড়ে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমনো ব্যক্তিদের মধ্যে স্থূলতার আশঙ্কা কম।
মানসিক অবসাদ : ঘুম কম হওয়ার কারণেই মূলত অনেকে অবসাদ, উদ্বেগের সমস্যায় ভুগে থাকেন। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ বেশি ঘুমের কারণে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
মাথা ব্যথা : বেশি ঘুম মস্তিষ্কের সেরাটোনিন হরমোন ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। ফলে মস্তিষ্কে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে না। মাথার ভিতরে বিভিন্ন কোষে চাপ সৃষ্টি হয়। যা মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাহাড়ের কান্না কে শুনবে
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড়ে উৎসবের রং