খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে আমরা নিজেরাই বিষ খাচ্ছি এটা এখন আর কথার কথা নয়, বাস্তবতা। অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহারে মাটি হচ্ছে অনুর্বর, ফসল হারাচ্ছে পুষ্টি, আর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ক্যানসার, লিভার ও কিডনির মারাত্মক রোগে। শুধু মানুষ নয়, পরিবেশ, জলজ প্রাণী, এমনকি উপকারী পোকামাকড়ও রেহাই পাচ্ছে না এই বিষক্রিয়ার হাত থেকে। মৌমাছি, প্রজাপতির মতো জীবেরা হারিয়ে যাচ্ছে, যা প্রাকৃতিক খাদ্যচক্র ও পরাগায়ন প্রক্রিয়ায় বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা রেখে যাব বিষাক্ত জমিন, দূষিত জলাধার ও অনিরাপদ খাদ্য। খাদ্য যদি আমাদের জীবন রক্ষার উপায় হয়, তাহলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এখনই সময়, জৈব পদ্ধতিকে উৎসাহ দেওয়া, কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, আর অকারণে কীটনাশক ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা। এর পাশাপাশি গণসচেতনতা বাড়াতে স্কুল, মিডিয়া ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। নিরাপদ কৃষি, নিরাপদ জীবন এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
রাশেদুল ইসলাম আকিব
শিক্ষার্থী
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।