গ্রুপ পর্বে অজেয় থাকার রেকর্ড ধরে রাখল পাকিস্তান। ভারতকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করা পাকিস্তান আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। গতকাল নিজেদের শেষ ম্যাচে ৭২ রানে হারিয়ে গ্রুপ সেরা এবং অজেয় থেকে সেমিফাইনালে গেল পাকিস্তান। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পেল পাকিস্তান। বাবর-মালিকের ব্যাটিং ঝড়ের পর পাকিস্তানি বোলারদের চমৎকার বোলিং সহজ জয় পায় বাবরের দল। টসে জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর এবং রিজওয়ান শুরু থেকেই ধীর গতিতে ব্যাট করতে থাকে। ৩৫ রানে বিচ্ছিন্ন হন দুজন। ১৫ রান করে ফিরেন রিজওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে ফখর জামান এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি অধিনায়কের সাথে। ৮ রান করে ফিরেছেন ফখর। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ৩৫ রান করে পাকিস্তান। তবে বাবর আজমের সাথে মোহাম্মদ হাফিজ যোগ দিলে দ্রুত বাড়তে থাকে রানের চাকা। দুজন ৫৩ রান যোগ করে। ১৯ বলে ৩১ রান করে ফিরেন হাফিজ। বাবরের সাথে শোয়েব মালিক যোগ দিলে ঝড় বইতে শুরু করে স্কটল্যান্ড বোলারদের উপর। ৪৭ বলে ৫ টি চার এবং তিন চক্কায় ৬৬ রান করে ফিরেন বাবর আজম। পাঁচ ম্যাচে বাবরের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি এটি। তবে শেষ দিকে শোয়েব মালিকের ঝড়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। মালিক মাত্র ১৮ বলে করেন ৫৪ রান। যেখানে একটি চার এবং ছয়টি ছক্কার মার ছিল। যা এবারের টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। ভারতের লোকেশ রাহুল ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। পাকিস্তান শেষ দশ ওভারে ১২৯ এবং শেষ পাঁচ ওভারে তোলে ৭৭ রান।
১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্কটল্যান্ডের দুই ওপেনার ২৩ রান তুলেছিল। হাসান আলির বলে অধিনায়ক কোয়েটজার ফিরলে ভাঙ্গে এ জুটি। ৩২ রানের মাথায় রান আউট হয়ে ফিরেন ম্যাথু ক্রস। দশম ওভারে জোড়া আঘাতে সাদাব খান ফেরান ওপেনার মানসে এবং ডিলানকে। মানসে ১৭ রান করলেও ডিলান রানের খাতা খুলতে পারেনি। ব্যারিংটন এবং লিস্ক মিলে চেষ্টা করেছিলেন কিছু রান করার। ৪৬ রান যোগ করেছিলেন দুজন। শাহিনশাহ আফ্রিদি ভাঙেন এজুটি। ফিরেন ১৪ রান করা লিস্ক। ব্যারিংটন একাই লড়াই করে হারের ব্যবধান কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়। ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্যারিংটন। আর তার দল থামে ১১৭ রানে। পাকিস্তানের পক্ষে ২টি উইকেট নেন সাদাব খান।