অগ্রগতি থামিয়ে দেয়ার চক্রান্ত চলছে : প্রধানমন্ত্রী

ভোট ডাকাতরা এখন ভোটাধিকার চায়

| বৃহস্পতিবার , ১৮ মে, ২০২৩ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সততা ও দেশপ্রেমে জোর দিতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের অর্জনগুলো নস্যাৎ করতে দেশি ও আন্তর্জাতিক গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করার উপরও তিনি জোর দেন। শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে’ তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা গণভবনে যান। সেখানে তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।

আওয়ামী লীগই একমাত্র দল হিসেবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে দাবি করে নেতাকর্মীদেরকে দেশসেবায় আরও তৎপর হওয়ারও তাগিদ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, এটাকে ধরে রেখে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে চলতে হবে। ধনসম্পদ কারও চিরদিন থাকে না। আর মরলেও মাটির নিচে যেতে হবে, কেউ কিছু সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু বেশি করলে বদনামটা নিয়ে যেতে হয়।

মানুষের কল্যাণে কাজ করার তৃপ্তির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকে যখন একজন ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষকে ঘর দেই, তাদের মুখের হাসি আর চোখের পানি যখন একাকার হয়ে যায়। আমি মনে করি এর চেয়ে বড় পাওয়া এবং সার্থকতা আর কিছু নাই। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ এগিয়েছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, এই অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।

তিনি বলেন, খুব স্বাভাবিকভাবে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বা যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে যেন আমাদের অর্জনগুলো নস্যাৎ হয়। জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের চিন্তা করে, বাকিগুলো লুটেরার দল। তারা এদেশের মানুষের কল্যাণের চিন্তা করে না। সে কথা মাথায় রেখে ঐ সন্ত্রাসের দল, খুনির দল, ওই যুদ্ধাপরাধীদের দল এরা যেন আর বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেদিকে সবাইকে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানাই।

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চোর যারা ছিল, রীতিমতো ভোট ডাকাত যারা ছিল, তারাই এখন গণতন্ত্র চায়, ভোটের অধিকারের কথা বলে। যাদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে, তাদের কাছে শুনতে হয় এ সমস্ত কথা! জনগণের আস্থাই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আর কোনো শক্তি নাই। বাংলাদেশের জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র বন্ধু।

আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচনী পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা এনেছে দাবি করে দলীয় সভাপতি বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে অনেকে কথা বলে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার কবে ছিল? পঁচাত্তর সালের পর থেকে যেভাবে ভোট চুরি, ভোট কারচুপি, ভোট নিয়ে খেলা, মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা; বরং ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই স্লোগান দিয়ে মানুষকে ভোট সম্পর্কে সচেতন করা, এটা তো আওয়ামী লীগই করেছে। তারপর নির্বাচন কমিশন করার জন্য আইন করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা হত, সেখানে ছবিসহ ভোটার তালিকা, আইডি কার্ড, নির্বাচনী পদ্ধতিকে যতটুকু সংস্কার করে নিয়ে আসা বা মানুষের আস্থাবিশ্বাস অর্জন, এগুলোতো আওয়ামী লীগেরই করে দেওয়া। তারপরও কেউ যখন আমাদের ছবক দিতে আসে, গণতন্ত্রের, নির্বাচনের ছবক দিতে আসে।

গণভবনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ ছাড়াও এর সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বস্তি নিয়ে এলো বৃষ্টি, সাথে কিছু দুর্ভোগও
পরবর্তী নিবন্ধঅত্যাধুনিক টিস্যু প্রসেসর পেল চমেক হাসপাতাল