অগ্নি ঝরানো আন্দোলন গড়ে তোলার প্রতীক্ষায় ছিল পুরো জাতি

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ

দমনপীড়ন চললেও ১৯৫২ সালে বাঙালি নিজের রক্ত ঢেলে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েছিল। অগ্নি ঝরানো আন্দোলন গড়ে তুলবার প্রতীক্ষায় ছিল পুরো জাতি। সারা দেশে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরদিন প্রতিবাদের রূপ কী হয় এ নিয়ে তুমুল আলোড়ন চলছিল মানুষের মনে। আর ছাত্ররা যারা এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তারা ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সেদিন ছাত্রদের আন্দোলনের প্রস্তুতির তীব্রতা ও অনমনীয় ভাব দেখে পূর্ববঙ্গ সরকার ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে সমাবেশ ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করে। মূলত জনমনে ভীতি ও ত্রাস সঞ্চারের চিরাচরিত পন্থাই গ্রহণ করেছিল সরকার। তবে এসব ভয়ভীতিতেও দমানো যায়নি ছাত্রদের। সরকারের ১৪৪ ধারা প্রবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে একুশের কর্মসূচি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কর্মপরিষদের যে বৈঠক হয় সেখানে ১১৪ ভোটে ১৪৪ ধারা না ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ছাত্ররা বিশেষ করে অলি আহাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের বিরোধিতা করে।

অলি আহাদ বলেছিলেন, এ সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। আগামীকাল (২১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় যে ছাত্র সভা হবে তাতে ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে যদি রায় হয় তবে আমরা ভাঙার পক্ষে।

এ প্রসঙ্গে গাজীউল হক বলেন, অলি আহাদ, মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি গোলাম মওলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মতিন এরা ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। ফজলুল হক হলের সহসভাপতি শামসুল আলম এদের সমর্থক ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ৭৫৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধনগরীর অর্ধেকের বেশি এলাকায় ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ