৯০ লট পণ্যের অনলাইন নিলামে ১৭০ দরপত্র জমা

চট্টগ্রাম কাস্টমস

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৭ মে, ২০২৪ at ৭:১১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ফেব্রিক্সসহ ৯০ লট পণ্যের অনলাইন নিলামে (অকশনে) দরপত্র জমা পড়েছে ১৭০টি। নিলামে ৪৯ জন বিডার অংশ নেন। অনলাইনে দরপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা ছিল গত ৭ মে সকাল ৯টা থেকে গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত। জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর ১৬ লট বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিলামে তোলার মাধ্যমে ইঅকশনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ২০ লট পেঁয়াজ নিলামে তোলা হয়। এছাড়া একই বছরের ৩ ও ৪ নভেম্বর কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা বিলাসবহুল ১১২ লট গাড়ি তোলা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১২ ও ১৩ জুন কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা ১০৮টি গাড়ি পুনরায় নিলামে তুলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ৭৮ লট গাড়ি নিলামে তোলা হয়। এছাড়া গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন ধরনের ২৩ লট পণ্য এবং গত ৩১ ডিসেম্বর ১০৮ লট পণ্য ইঅকশনে তোলা হয়। এছাড়া গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ধরনের ৭৯ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়। তবে সেই নিলামে ৩৫ লটের একটি দরপত্রও জমা পড়েনি। এছাড়া বাকি ৪৪ লটে অংশ নিয়েছেন ১৬ বিডার।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মো. সেলিম রেজা জানান, এটি আমাদের একটি নিয়মিত কাজ। সেই কাজের অংশ হিসেবে এবার ৯০ লট পণ্যের নিলাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকুতুব‌দিয়ায় এল‌পি গ্যাস বিক্রেতাকে ৫০ হাজার টাকা জ‌রিমানা
পরবর্তী নিবন্ধশৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চিফ ট্রেন কন্ট্রোলারকে লালমনিরহাটে বদলি