৫০ লাখ টিকার অগ্রিম ৬০০ কোটি টাকা আজ ভারতে পাঠাবে বাংলাদেশ

| রবিবার , ৩ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ সরকার ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনার জন্য আজ রোববার (৩ জানুয়ারি) প্রথম চালানের ৫০ লাখ টিকার দাম বাবদ অগ্রিম ৬০০ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা করবে। বিনিময়ে সেরাম ইন্সটিটিউট একটা ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে। ২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা অনুসারে যুক্তরাজ্য ও ভারতে অনুমোদনের পর বাংলাদেশে টিকা নিয়ে আসতে এখন আর কোনো বাধা নেই। খবর বাংলানিউজের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো বলেন, দ্রুতই দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বিশেষ কমিটির অনুমোদন দিয়ে দেবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজ প্রস্তুত আছে। চুক্তির ধারা অনুযায়ী তারা যদি আগামী জুনের মধ্যে টিকা দিতে না পারে তাহলে বাংলাদেশ অগ্রিম এই টাকা ফেরত নেবে।
এদিকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর ভারত বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি বিশেষজ্ঞ প্যানেল। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
তবে কেবল ‘নিয়ন্ত্রিত জরুরি প্রয়োগ’-এর জন্যই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখন অপেক্ষা চূড়ান্ত ছাড়পত্রের। চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র পেলেই এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হয়ে যাবে।
হায়দরাবাদের টিকা নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন প্রথম থেকেই আশাপ্রদ ফল দিয়েছিল। পরীক্ষামূলক প্রয়োগেও সন্তোষজনক ফল দেখা গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পক্ষ থেকে তাই নিয়ন্ত্রিত জরুরি ব্যবহারের জন্য এই টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ২ জানুয়ারি বিকেলে ডিজিসিআই-এর কাছে টিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জমা করেছে ভারত বায়োটেক। এখন ডিসিজিআই-এর পক্ষ থেকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেলেই ভারতে জরুরি ক্ষেত্রে আপাতত ব্যবহার করা যাবে এই টিকা। ভারত বায়োটেকের আবেদন বিশ্লেষণ করার সময় বিশেষজ্ঞ প্যানেল আলোচনা করে দেখেছে, ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে দেশটির ২৫ হাজার ৮০০ নাগরিকের ওপর। এর মধ্যে ২৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। রয়েছেন কো-মর্বিডিটি যুক্ত মানুষেরাও, যাদের ওপর প্রয়োগ করে বোঝা গিয়েছে, এটি নিরাপদ। কিন্তু কতটা কার্যকর, সেটা সম্পূর্ণ বুঝতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর শুক্রবার জানিয়েছিলেন, তিনটি টিকা এখনও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি প্যানেলের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। তার মধ্যে একটি কোভ্যাক্সিন, একটি ক্যাডিলার জাইকোভ-ডি আর অন্যটি রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফ্লাইওভারে ওঠার মুখে প্রাণ গেল শ্রমিকের
পরবর্তী নিবন্ধবন্দর ও সিএমপির ক্লিয়ারেন্সে কাজে গতি