৪ মে থেকে ট্রেনে ১শ কিমির বেশি যাত্রায় বাড়ছে ভাড়া

তিন দশক আগের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

ট্রেনে যাত্রী টানতে তিন দশক আগে বাংলাদেশ রেলওয়ে যে রেয়াতি সুবিধা চালু করেছিল, সেই সুবিধা উঠে যাচ্ছে আগামী ৪ মে। ফলে ৩২ বছর পর আগামী ৪ মে থেকে প্রতিটি যাত্রীকে ১শ’ কিলোমিটারের বেশি যাত্রায় বর্তমানের চাইতে বেশি ভাড়া দিতে হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের গতকাল সোমবারের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত চালু ছিল। সমপ্রতি বাংলাদেশে রেলওয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে নতুন করে ভাড়া না বাড়িয়ে দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। রেল কর্মকর্তারা বলছেন, রেয়াতি ব্যবস্থার কারণে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রীদের নির্দিষ্ট ভাড়ার চেয়ে অনেক কম টাকা পরিশোধ করতে হয়। দীর্ঘ প্রায় ৩২ বছর ধরে দূরপাল্লার ট্রেন যাত্রীরা ভাড়ার ক্ষেত্রে ছাড় পেয়ে আসছিলেন। এদিকে যাত্রীর আবেদনে সংযোজন করা অতিরিক্ত বগির ভাড়াও বাড়বে। সংযোজিত বগির শোভন শ্রেণিতে ২০ শতাংশ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (স্নিগ্ধা) ও অন্যান্য উচ্চ শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ ভাড়ার সঙ্গে যোগ করা হবে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। ১০০ কিলোমিটারের পর ২০ শতাংশ আর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের জন্য রেয়াতের হার ২৫ শতাংশ এবং ৪০১ কিলোমিটারের উপর ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।

এই রুটে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৩৪৫ টাকা। বিরতিহীন সোনার বাংলা ট্রেনে এই শ্রেণিতে ভাড়া ৪০৫ টাকা। কিন্তু রেয়াত সুবিধাবিহীন এবং বিরতিহীন পর্যটক এঙপ্রেসে ভাড়া ৪৫০ টাকা। রেয়াত সুবিধা উঠে গেলে সাধারণ ট্রেনেও শোভন চেয়ার শ্রেণিতে ভাড়া হবে ৪০৫ টাকা।

২০১২ সালের অক্টোবর মাসে সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফা বাড়ানো হয় রেলের ভাড়া। সে সময় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজব্বারের বলীখেলা, যান চলাচলে সিএমপির নির্দেশনা
পরবর্তী নিবন্ধঢাকায় কাতারের আমির, লাল গালিচা অভ্যর্থনা